শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ বলেছেন, দেশে কৃষি পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে মধ্যসত্ত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে মধ্যসত্ত্বভোগীদের ধ্বংস করে দেওয়া যাবে আমরা সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে চাই। আমরা ভোক্তাদের জন্য মার্কেট স্টাডি করতে চাই। মার্কেট মনোপলি না ওলিগপলি সেটি দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এখনই তার কোন ডেডলাইন দেওয়া যাচ্ছে না।’
বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার সাক্ষাত করার পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, কত দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে সে বিষয়ে ডেডলাইন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য যতগুলো সেক্টর আছে সবাই একত্রিত হয়ে একটি সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়েই আমরা বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে চাই’।
তিনি বলেন, বেশি মুনাফার জন্য মানুষের বুকে চাকু মারলাম, সেটা তো হতে পারে না। বাজার নিয়ন্ত্রণে বাজার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এগিয়ে যাওয়া। এগিয়ে যাওয়ার জন্য উন্নত প্রযুক্তির চাষাবাদ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। এখানে অনেক বিজ্ঞানী রয়েছেন, আমরা তাদের কাজে লাগাতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ফসল উৎপাদন যাতে বেশি হয়, সেজন্য আমরা কোন ভূমি খালি রাখতে চাই না। যেসব জায়গায় ফসল ফলানো যায়, সেখানে যাতে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহিত হয়, আমরা সে পদক্ষেপ নেবো। প্রয়োজনে আমরা উঠান বৈঠক করবো।’
গ্রাম পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা রয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা প্রতিটি এলাকায় ঘুরে ফসলের সমস্যা কী, কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা ও সঠিকমাত্রায় সার দিচ্ছে কিনা- তা তদারকি করে থাকেন। সেই তদারকি আরও জোরদার করা হবে।
জামার্নির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে আব্দুস শহীদ বলেন, ‘স্বাধীনতার সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। জার্মানি উন্নত দেশ, কৃষিতে উন্নত। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করবে। পূর্বাচলে আমরা একটি আন্তর্জাতিক মানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব করতে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে জার্মানির কারিগরি সহযোগিতা দরকার। এ বিষয়েও তারা সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জার্মানিতে আম, আনারস, শাকসবজি রপ্তানি করতে চাই। তাদের বলেছি, কোয়ালিটির ব্যাপারে আমরা কোন আপস করবো না। উৎপাদনের ক্ষেত্রে মানের প্রশ্নে আপস করা হবে না। এক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রয়েছে।’