শিরোনাম
সিলেট, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ৩৩ পেরিয়ে ৩৪ বছরে পদার্পন করেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
নতুন বছরে পদার্পন উপলক্ষে আজ ৩৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করেছে শাবিপ্রবি।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থিত জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে হ্যান্ডবল মাঠে এসে শেষ হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে এবং কেক কাটার মাধ্যমে ৩৩তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদের প্রতি আমরা গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তার শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানব সমাজকে এ বার্তা দিয়ে আসছে যে, এ বিশ্ববিদ্যালয় উত্থিত হয়েছে মানব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ ও দেশকে অধিকতর আধুনিকরণের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
তিনি আরও বলেন, আজ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে সফলতার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। এ সফলতাকে আরও সুদৃঢ় করার জন্য আমরা সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে একজন ডিস্টিংগুইশ অধ্যাপক নিয়োগ দিয়েছি। তাতে আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে শাবিপ্রবি বিশ্বের সেরা ৫০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান করে নিবে।
উদযাপন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে,পহেলা ফাল্গুন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) দিবস। ১৯৯১ সালের বসন্তের এই দিনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গৌরব ও সাফল্যের ৩৩টি ফাল্গুন পেরিয়ে ৩৪তম জন্মদিনে পা রাখলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশসেরা গ্রেজুয়েট তৈরিতে দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তৈরি করেছে অনন্য অবস্থান।