বাসস
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৮

বহুমাত্রিক অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে: আইজিপি

ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বৈশ্বিক অপরাধের প্রভাবে বাংলাদেশেও সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদের মতো অপরাধ যুক্ত হয়েছে। তবে পুলিশ এধরনের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অপরাধ মোকাবেলায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। 
তিনি আজ শনিবার পুলিশ স্টাফ কলেজে মার্স্টাস অফ এ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের অস্টম ব্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। 
আইজিপি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং বৈশ্বিক পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় অপরাধ ও অপরাধীদের কার্যক্রমে বহুমাত্রিকতা সংযোজিত হয়েছে। 
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যে সকল অপরাধ সংঘটিত হতো এখন সেটি ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তির ও যোগাযোগের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচলিত অপরাধের ধরণ যেমন পরিবর্তিত হয়েছে তেমনি ডিজিটালাইজড পদ্ধতির অপরাধ সংযোজিত হয়েছে। শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেসব অপরাধ মোকাবেলায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছার ফলে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ এর যাত্রা শুরু করে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
কোর্স উদ্বোধনের আগে তিনি পুলিশ স্টাফ কলেজের নবনির্মিত সাইবার ল্যাব’র উদ্বোধন করেন এবং পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক পুলিশ গবেষনা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-২০১৬ হতে মার্স্টাস অফ এ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি এন্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট ১ বছর মেয়াদী মাস্টার্স প্রোগ্রাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুলিশ স্টাফ কলেজে  পরিচালিত হচ্ছে। প্রফেশনাল এ মাস্টার্স প্রোগ্রামে পুলিশ অফিসার ছাড়াও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীগণের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। অস্টম ব্যাচে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক বিভাগের কর্মকর্তা, আইনজীবি, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী ভর্তি হয়েছেন। এ কোর্সের মাধ্যমে অপরাধ বিষয়ক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুলিশিংর ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মাস্টার্স প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পুলিশ স্টাফ কলেজের অনুষদবর্গ উপস্থিত ছিলেন।