বাসস
  ২৯ জুলাই ২০২৪, ২০:০৬

টাঙ্গাইলে ইশরাক হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ঢাকা, ২৯ জুলাই, ২০২৪ (বাসস): টাঙ্গাইলে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর মাহতাব ইশরাককে ফোনে ডেকে হত্যা মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। 
কারাদ-প্রাপ্তরা হলো- আবু ফয়সাল, অমিত হাসান, আরিফুল ইসলাম অনিক ও খন্দকার মেহেদী হাসান নভেল। 
আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক রফিকুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। 
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ইশরাক তার নানার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতেন। সোহানুর রহমান সোহান ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সোহান ইশরাককে দেখা করার জন্য ফোন করেন। তিনি টাঙ্গাইল সদর থানাধীন পৌর উদ্যানের পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দেখা করতে যান। সেখানে আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। 
এ ঘটনায় ইশরাকের বাবা ইব্রাহিম খলিল পরদিন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্তে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সোহান হোটেল বয়ের কাজ করতেন এবং রাজনৈতিক দলের মিটিং-মিছিলে লোক সাপ্লাই করতেন। ইশরাক এর বিরোধীতা করেন। ঘটনার ৭/৮ মাস আগে ইশরাক, তুর্য, রিয়াদ, মহসিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে সোহানকে আটক করে মারধর করে এবং ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয় সোহান। সোহান ইশরাককে মারার পরিকল্পনা করেন। লোকও ঠিক করেন। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি ইশরাককে ফোনে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। 
মামলাটি তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন ওই বছরের ১১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য টাঙ্গাইলের আদালত থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা হয়। 
অপর দিকে সোহান ও নাইমুর রহমান হিমেল শিশু হওয়ায় তাদের বিচারকাজ চলছে শিশু আদালতে।