ঢাকা, ১ আগস্ট, ২০২৪ (বাসস) : জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছে সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরাম। 
আজ এক প্রতিক্রিয়ায় ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আমলে দ্বিতীয়বারের জন্য নিষিদ্ধ হলো দলটি। ধর্মীয় মৌলবাদী  দলটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল।  দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ধর্মের অপব্যবহার, স্বাধীনতার বিরোধিতা ও গণহত্যায় অংশ নেওয়ার জন্য দলটিকে নিষিদ্ধ করে।  জেনারেল জিয়াউর রহমানের সরকার তাদের রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। জামাত বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, বরং প্রতিরোধ করেছে, এবং গত ৫৩ বছরেও তার নীতি আদর্শেও পরিবর্তন ঘটেনি। কাজেই এই নিষিদ্ধকরণ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি।’
তারা বলেন, ‘সরকারি ঘোষণা দিয়ে কোনো দলকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয়। বাংলাদেশকে সুস্থ  গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধেও প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করতে সরকার, গণসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের পুনর্জাগরণ প্রয়োজন।’
সেক্টর কমান্ডারস্ ফোরামের দেওয়া বিবৃতিতে  বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সরকারের নির্বাহী আদেশে সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় জামাতে ইসলামী ও তার ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগেই দলটিকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের ছত্রছায়ায় সংগঠন দুটি ব্যাপক নৈরাজ্য ও সহিংসতার যুক্ত ছিল।’