বাসস
  ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৫৬

জীবন রক্ষায় আমাদের ভালো নগর পরিকল্পনা দরকার : ত্রাণ উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

ঢাকা, ৫ নভেম্বর,২০২৪(বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক বলেছেন, দুর্যোগে জীবন রক্ষার জন্য আমাদের শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরও ভালো নগর পরিকল্পনা দরকার।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : সমস্যা ও প্রতিকার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক ই আজম বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ দেশ। সচেতনতা ও  জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়।

মানুষ সচেতন হলেই দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস পাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবাইকে সচেতন করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই শুরু করতে হবে। এছাড়া সরকারের উপর নির্ভর না করে সর্বোতভাবে ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ভূমিকম্প মোকাবেলায় পারদর্শী অন্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের সকল সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

ফারুক ই আজম বলেন, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা হলো আমাদের দারিদ্র্য। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫ টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই আমি দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তররের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, যুগ্ম সচিব মোঃ আহমেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইন্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী। কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ৭০ জন প্রতিনিধি আংশগ্রহণ করেন।