শিরোনাম
ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ এখানকার সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘পার্বত্য জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়ন, তাদের জন্য গুণগত ও মানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, কৃষিজ ও মৎস্য চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার রক্ষা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজম ইত্যাদি বিষয়ে এই মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে’।
আজ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন’র নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশে প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা বিস্তারে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি এবং প্রত্যন্ত এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল ভবন নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পানির সংকট নিরসন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, প্রজনন বৃদ্ধি ও সুরক্ষা বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ঘনিষ্টভাবে সহযোগিতা করবে-আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি নাগরিক সমতার ভিত্তিতে যেন মিলেমিশে বসবাস করতে পারে সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বর্তমান সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বিষয়েও ভারপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারকে অবহিত করেন। এসময় উপদেষ্টা বাংলাদেশের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ান সরকার সবসময় পাশে থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি উন্নয়ন সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার, ফার্স্ট সেক্রেটারি রাজনৈতিক লারা অ্যাডামস, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জেসমিন আক্তার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।