বাসস
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২২
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৯

নাটোরের চলনবিলে চলছে মধু আহরণ

নাটোর, ৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলার চলনবিলে হলুদ চাদরে ঢাকা সরিষার বিস্তৃর্ণ জমিতে মধু আহরণ কার্যক্রম চলছে। মামুদপুর গ্রামে স্থাপিত ২৬০টি মৌ-বক্স থেকে ইতোমধ্যে এক টন মধু পাওয়া গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় নয় হাজার ১৮৮ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উপজেলায় তিন হাজার ৯০০ হেক্টর। চলনবিলের আত্রাই নদী সংলগ্ন মাঠ জুড়ে শুধুই সরিষার ক্ষেত হলুদের সমারোহ। মামুদপুর গ্রামে ২৬০টি মৌ-বক্স স্থাপন করেছেন মৌচাষী মো. সাগর।

সাগর জানান, গত এক মাসে দু’বার মধু সংগ্রহ করেছি। প্রায় এক টন মধু পেয়েছি। আরো দু’বার মধু সংগ্রহ করতে পারবো। তবে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করায় অনেক মৌমাছি মারা যাচ্ছে।

সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ হাসান বলেন, সরিষার আবাদী জমিতে মৌ-বক্স স্থাপনের কারনে ফুলের পরাগায়ন ভালো হয়েছে। ফলে এই সরিষার উৎপাদন হবে আশাতীত। পাশাপাশি, বাড়তি উৎপাদন হিসেবে প্রচুর বিশুদ্ধ মধু পাওয়া যাচ্ছে। সরিষার ফলন পাওয়ার আগেই জমি থেকে বাড়তি উপার্জনের সুযোগ তৈরী হয়েছে। 

জেলার মৌ চাষী ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, সরিষার আবাদী জমি থেকে মধু আহরণ কার্যক্রমে চলনবিল অধ্যুষিত সিংড়া উর্ব্বর ক্ষেত্র। মৌচাষী এবং কৃষি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করলে মধু আহরণ অনেকগুণে বৃদ্ধি পাবে।

জেলা মৌ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, বিসিক থেকে মৌ চাষীদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং কৃষি বিভাগ থেকে মৌ চাষের উপকরণ সরবরাহ কর হতো। গত তিন বছর থেকে এসব কার্যক্রম আর নেই। তবে ঢাকার বাসার ফাউন্ডেশন থেকে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমীতে নাটোর জেলার তিনজন মৌ চাষীকে প্রশিক্ষণ প্রদান শেষে উপকরণ প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিসিকের প্রশিক্ষণ, কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহ এবং রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক থেকে মৌ চাষীদের বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে আমরা উপকৃত হবো।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আবাদী জমি থেকে মধু আহরণ কার্যক্রম জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নাটোরে। জমির ফসল নিরাপদ রাখা তথা ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। মধু উৎপাদন কার্যক্রমকে সুরক্ষা প্রদানে আমরা বদ্ধপরিকর।