রংপুর, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সমাজ ও রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেছেন, বুদ্ধিভিত্তিক কর্মসূচির মাধ্যমে রংপুর বিভাগে বৈষম্য নিরসন করতে হবে।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে শিল্পায়ন খাতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো, দারিদ্রতার হার কমানোর জন্য কৃষিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া, তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠনের মাধ্যমে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে রংপুর বিভাগের আড়াই কোটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার রংপুর বিভাগে বৈষম্য নিরসনে আগামী ৮ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের কনভেনশন উপলক্ষে নগরীর একটি হোটেলের মিলনায়তনে আয়োজিত  ‘রংপুর বিভাগের বহুমাত্রিক দারিদ্রতা, শিল্পায়নে বন্ধ্যাত্ব ও বাজেট বৈষম্য নিরসনে করনীয় বিষয় কমর্শালা’ পরবর্তী অগ্রগতি ও জাতীয় কনভেনশন প্রাক-প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।

ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, জেলা-উপজেলা ভিত্তিক দারিদ্রতার হারসহ বৈষম্যের সবদিক থেকে গত ৫৩ বছরের ৫৪টি বাজেটে বৈষম্যের শিকার হয়েছে উত্তরবঙ্গ। সেই বৈষম্য এখনো চলমান রয়েছে। সেটি নিরসনের জন্য রংপুর বিভাগ বৈষম্য নিরসন প্লাটফর্ম কাজ করছে।

তিনি বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন বা অন্য কোন উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে জনগণ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চান। ভূ-রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে এ কাজে প্রতিবেশী দেশ ব্যতিত অন্য কোন দেশ বা উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা সামিল হতে পারে। রংপুর বিভাগের উন্নয়নে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ভারতকে খুশি রেখে ক্ষমতা আকড়ে ধরে থাকা এবং নতজানু নীতির কারণে শেখ হাসিনার সরকার তিস্তা মহাপরিকল্পনা, তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তিসহ অনেক গুরুতপূর্ণ ইস্যুতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিগত সময়গুলোতে যারা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে গিয়েছেন, তারা জনআকঙ্ক্ষা পূরণে যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেননি। কারণ জনগণের সাথে জনপ্রতিনিধিদের তেমন সম্পৃক্ততা ছিলনা। এটিও রংপুর বিভাগ পিছিয়ে পড়ার একটি অন্যতম কারণ।

মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক, সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, মাহবুব রহমান হাবু, নজরুল ইসলাম রাজু, জুয়েল আহমেদ, সিদ্দিকুর রহমান, ফরহাদুজ্জামান ফারুক, আব্দুর রশিদ জীবন, শাহ নেওয়াজ জনি, এহসানুল হক সুমন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় রংপুরের প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন। এসময় আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী ৮ মার্চ ঢাকায় জাতীয় কনভেনশন সফল করতে রংপুর বিভাগের সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সহযোগিতা ও পরামর্শ আহ্বান করা হয়।