রংপুরে পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্বারোপ

বাসস
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪১
রংপুরে পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্বারোপ। ছবি: বাসস

।। রেজাউল করিম মানিক ।।

রংপুর, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ ( বাসস): ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ পৃথিবী গড়তে সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহারে সরকারের পাশাপাশি আরও বেশি বেসরকারি উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা। 

পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকারক প্রভাব ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের সম্ভাবনা নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বারোপ করছেন তারা।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে একথা জানান পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা।

‘আমাদের একটি স্বপ্ন আছে’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অব পুওর সোসাইটি (ডপস), ক্লিন ও বিডব্লিউজিইডি যৌথভাবে এই প্রচারাভিযানের আয়োজন করে। এতে শিক্ষার্থী, পরিবেশ উন্নয়নকর্মী, সংগঠক ও স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন।

প্রচারাভিযানে বক্তব্য রাখেন-ডপস-এর নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের আহ্বায়ক সাব্বির মোস্তফা আরিফ পিয়াল, এনজিও কর্মী নাজিম উদ্দিন সরকার সুমন, সুবল মুখার্জি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও রেদওয়ানুল হকসহ অন্যরা।

উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ কেবল পরিবেশের জন্যই নয়, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করে ও দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও পরিবেশের সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার গুরুত্ব বহন করে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি। 

ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের আহ্বায়ক সাব্বির মোস্তফা আরিফ পিয়াল বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুতের শতভাগ চাহিদা মেটাতে হবে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে দেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ২ ভাগ মেটানো সম্ভব হচ্ছে। রংপুর জেলায় অনেক খাস জমি আছে। এ সকল খাস জমির পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী ফাঁকা স্থানে সোলার স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। 

তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি বহুতল ভবনের ছাদে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন কমে যাবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।

আয়োজকরা জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা এ প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্য। 

রংপুর অঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এ ধরনের প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে এগিয়ে নেওয়া এবং সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সরকারি খরচায় ১১ লাখ ৯৫ হাজার জনকে আইনি সহায়তা
মাতারবাড়িতে ইজিবাইকসহ অপহৃত চালককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী
পাকিস্তানের কাছে হেরে অপেক্ষায় বাংলাদেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাংচুর: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ডা. সুমিত সাহা কারাগারে
সিলেট স্টেডিয়ামে জুলাই আন্দোলনে শহীদ তুরাবের নামে গ্যালারি
জয় দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করতে চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এ দেশের মানুষকেই ঠিক করতে হবে : মির্জা ফখরুল 
তুরস্কে বিক্ষোভ নিয়ে ছাত্র ও সাংবাদিক ২০০ জনের বিচার শুরু
নীলফামারীতে ১২ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান
তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাস ক্ষেত্রে দু’টি গভীর অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ
১০