জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ চাই: বিশেষজ্ঞগণ

বাসস
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৪
রোববার রংপুরের সুরভি উদ্যানের সামনে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মানববন্ধন করে সনাক। ছবি: বাসস

রংপুর, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসযোগ্য সবুজ পৃথিবী গড়ে তুলতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি পদ্ধতিতে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ প্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

তারা রোববার বিকেলে নগরীর সুরভি উদ্যানের সামনে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্লিন এনার্জি ডে ২০২৫’ উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) আয়োজিত সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।

সনাক রংপুরের সভাপতি ড. স্বাশ্বত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এএএম মুনির চৌধুরী, আসিফ আহমেদ, সাদিক আল মাহদী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহারে নীতিগত স্পষ্টতা এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্ত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এ সময়, জ্বালানি খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে অ্যাডভোকেট এএএম মুনির চৌধুরী মানববন্ধন থেকে প্রস্তাব হিসাবে ১২টি সুপারিশ পেশ করেন।

এর মধ্যে রয়েছে- বিদ্যমান জ্বালানি-ভিত্তিক জ্বালানি মাস্টার প্ল্যান 'ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইপিইএমপি-২০২৩)’ অবিলম্বে বাতিলকরণ।

জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস এবং জ্বালানি মিশ্রণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধির নীতির ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন মাস্টার প্ল্যান তৈরি ও বাস্তবায়ন।

এই খাতের সাথে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ গঠন।

জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিইআরসি)’র আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করা উচিত, যাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা যায়।

আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পাদিত জ্বালানি খাতে সমস্ত প্রকল্প প্রস্তাব এবং চুক্তির নথি প্রকাশ করা।

বিদ্যুৎ খাতের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে উন্মুক্ত সংগ্রহ এবং ই-জিপি পদ্ধতি ব্যবহারসহ জাতীয় ক্রয় আইন এবং নীতিমালা সম্পূর্ণরূপে মেনে চলা।

স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনসাধারণের অংশগ্রহণ ইত্যাদি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিকল্পনা, চুক্তির শর্তাবলী নির্ধারণ, অনুমোদন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন ইত্যাদি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঢাবি ছাত্র সাম্য হত্যাকাণ্ড: তিন আসামি রিমান্ডে
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইলিয়াস মোল্লাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চাপ সৃষ্টি করে বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলা যাবে না: মির্জা ফখরুল 
মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনা: অজ্ঞাতনামা আট মৃত দেহের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরির অনুমতি
পঞ্চম টেস্টে পান্তের জায়গায় জাগাদিসান
জুলাই মাসের প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ৩৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি 
মাইলস্টোনে নিহত টাঙ্গাইলের হুমায়রার কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় ‘নিঃশর্ত’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া
রাজশাহীতে ২৯ জুলাই কর্মসূচি সফল করতে পরিকল্পনা করেন যোদ্ধারা
রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণের নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি
১০