তালায় সবজি চাষের সাথে সুমনের বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ

বাসস
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫০
আঙুর চাষে সফলতা পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা সুমন দাশ। ছবি ; বাসস

//আসাদুজ্জামান//

সাতক্ষীরা ,৩ ফেব্রুয়ারি,২০২৫(বাসস) ঃ জেলার তালায় সবজি চাষের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষে সফলতা পেয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা সুমন দাশ।

ভারতের মহারাষ্ট্র এলাকার ব্লাক জাম্বু, সুপার সোনাকা, মানিকচমন ও ভিএসডি জাতের আঙুর চাষ করেছেন তিনি। আগামী অক্টোবর থেকে এসব আঙুর বিক্রি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। তিনি দুই বিঘা জমিতে আঙুরের পাশাপাশি ক্যাপসিকামও চাষ করেছেন। এরই মধ্যে ক্যাপসিকাম বাজারজাত করতে শুরু করেছেন। দুই-একদিন পর পর তিনি ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করছেন। এছাড়া তিনি তিন বিঘা জমিতে শসা ও করোলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছেন।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মির্জাপুর বারাত গ্রামের বিশ্বনাথ দাশের ছেলে সুমন দাশ (৩৬)।  সুমন দাশের স্ত্রীর নাম লতিকা মন্ডল (৩৪)। সুমন ও লতিকা দম্পতি সদ্যজাত (১৩ দিনের) একটি কন্যা সন্তানের বাবা-মা।
সুমন চাকরি করেন স্বাস্থ্য বিভাগে। তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট। সরকারী চাকরির পাশাপাশি কৃষি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে তার অনেক আগে থেকেই।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা সুমন দাশ জানান, ২০২১ সালে বাড়ির পাশে নিজেদের এক বিঘা জমিতে প্রথমে এক লাখ টাকা খরচ করে শসা ও করলা চাষ শুরু করি। এ এক লাখ পুজি খাটিয়ে সেখান থেকে আমি ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করি। সব খরচ বাদে আমার এতে লাভ থাকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এরপর থেকে আমি চাষাবাদ বাড়াতে থাকি। বর্তমানে আমি ৩ বিঘা জমিতে শসা ও করলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছি। এছাড়া গত বছরের (২০২৪ সালের) জুলাইয়ে ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে সংগ্রহ করি চার জাতের ৪৫০টি আঙুরের চারা। দুই বিঘা জমিতে ওই চারা রোপণ করেছি। সাথী ফসল হিসেবে রকমেলন ও তরমুজ চাষ করে তিন মাসের মধ্যে সেখান থেকে আমি ৮০ হাজার টাকা লাভবান হই। গত নভেম্বর মাসে সাথী ফসল হিসেবে সেখানে সাড়ে আট হাজার সিনজেন্টা ইন্দিরা গোল্ড জাতের ক্যাপসিকাম চারা রোপণ করেছি। এরই মধ্যে ক্যাপসিকাম বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। দুই-একদিন পর পর ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ কেজি ক্যাপসিকাম বিক্রি করছি। বাজারে প্রতি মণ ক্যাপসিকাম ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পাওয়া যাচ্ছে। দুই বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করতে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গাছে যে পরিমাণ ফলন দেখা যাচ্ছে, তাতে ১৫-১৬ টন ক্যাপসিকাম উৎপাদন হতে পারে। তবে এখন বাজারে দামটা ভালো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে গড়ে প্রতি টন ৭০ হাজার টাকা পাওয়া গেলেও প্রায় ৭-৮ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি হবে। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মাসের এ ফসলটি উৎপাদন করে সব খরচ বাদে প্রায় ৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদী।

সাতক্ষীরা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, প্রথমবারের মতো সাতক্ষীরার তালার বারাত গ্রামের সুমন দাশ আঙুর চাষ করেছেন। সাধারণত বেলে দোঁআশ বা লাল মাটি আঙুর চাষের উপযোগী। কষিসম্প্রসারণ বিভাগ থেকে উক্ত আঙুর চাষীকে পরামর্শ ও দেখভাল করা হচ্ছে। তবে প্রথমবাবের মতো বাণিজ্যিকভাবে আঙুর চাষ করে সফল হলে অবশ্যই সাতক্ষীরার জন্য কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা বয়ে আনবে বলে এ কৃষিকর্মকর্তা আরো জানান।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গোপালগঞ্জের সংঘর্ষ নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়নি : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০.৩ বিলিয়ন ডলারে: বাংলাদেশ ব্যাংক
বিএনপি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই এসেছে : টুকু
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় ভোলায় এনসিপির মশাল মিছিল
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি ঢাবি সাদা দলের
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় রাঙ্গামাটিতে এনসিপির বিক্ষোভ ও রোড ব্লক কর্মসূচি
জুলাই বিপ্লবকে জীবিত রাখতে সকলকে সজাগ থাকতে হবে : মাহমুদুর রহমান 
জিয়াউর রহমানের ছবি অবমাননা ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তির প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ সমাবেশ
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৫৫ জনকে পুশইন
১০