শিরোনাম
কুড়িগ্রাম, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদকে আসামী করে কুড়িগ্রাম দুর্নীতি দমন কমিশনে আজ সাড়ে ২৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২০০৪এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারা এবং দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন এ মামলা দায়ের করেন।
কুড়িগ্রাম দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের পুত্র রাকিবুজ্জামান আহমেদকে এক নম্বর আসামী করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২কোটি ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ১০টি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৫৭৪ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৪১১ টাকা সন্দেহ জনক উত্তোলনসহ সর্বমোট ২২ কোটি ৪৩ লাখ ২হাজার ৯২৫টাকার সঠিক বৈধ উৎস ও ব্যাখ্যা না থাকায় সন্দেহজনক লেনদেন হিসাবে চিহিৃত করা হয়।
একই সঙ্গে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে দুই নম্বর আসামী করা হয়। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্জিত অবৈধ অর্থকে বৈধ করার উদ্দেশ্যে ছেলের নামে সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়।
লালমনিরহাট জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর ঘটনার সময়কাল নির্ধারণ করা হয় ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল। মামলাটি দুর্নীতি দমন কমিশন নিজে তদন্ত করবে।
তিনি বলেন, দুজন আসামীর মধ্যে ২নং আসামি সাবেক মন্ত্রীকে গত বৃহস্পতিবার (৩০/০১/২৫) আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলিতে মানিক নামে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী। মন্ত্রীর নামে রংপুর ও ঢাকায় তিনটি হত্যা মামলা রয়েছে। সে মামলায় তিনি জেলহাজতে আছেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে ৩ বারের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একবার প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও একবার একই দপ্তরের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।