শিরোনাম
টাঙ্গাইল, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলার বাসাইল কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সৈয়দামপুর গ্রামে বংশাই নদীতে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী ডুবের মেলা অনুষ্ঠিত ।
স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মাঘী পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত এই মেলায় নদীতে পূর্ণ্যস্নান করলে পাপমোচন হয়। যা মানুষের মুখে ডুবের মেলা নামে পরিচিত।
আজ বুধবার দিনব্যাপী এ মেলায় জেলার দূর দূরত্ব থেকে আগত জনগণ পূজা ও স্নান পর্বে অংশগ্রহণ করে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে স্নান উৎসব। নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরী স্নান উৎসবে অংশ নেন। তারা জমির আইল ধরে ডুবের মেলায় আসেন।
স্নান উৎসবে অংশ নেওয়া পূণ্যার্থীরা জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের পাপ মোচন উপলক্ষে ভোরে মানত ও গঙ্গাস্নান পর্ব সমাপণ করেন। গঙ্গাস্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়। মনের আশা ও বাসনা পূরণ হয়। এই স্নানে অংশ নিলে পূর্ণ মিলে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে গঙ্গাস্নানে অংশ নিয়ে তাদের মনের বাসনা পূরণ করে।
জানা যায়, ব্রিটিশ শাসনামলে বক্ত সাধু নামে খ্যাত এই সন্যাসীর (মাদব ঠাকুর) মূর্তি প্রতিস্থাপন করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। এই পূজা উপলক্ষে তখন থেকে গঙ্গাস্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তখন থেকে এটা ডুবের মেলা নামে পরিচিত।
মেলায় স্নানে অংশ গ্রহণ করতে আসা অনিল কুমার জানান,সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করে যে, আজকে এই মাঘীপূর্ণিমার তিথিতে উত্তর বাহিত জলে স্নান করলে সাড়া বছরের পাপ মোচন হয়।
অনেকের মনে আশা থাকে যে স্নান করলে তাদের মনের আশা পূরণ হয়। যাদের ছেলে-মেয়ে হয় না তারা এখানে এসে স্নান করে। একেক জনে একক রকমের বাসনা নিয়ে এসে স্নান করে।
মিষ্টি বিক্রেতা ফজল আলী জানান, আমি ৩২ বছর ধরে এই মেলায় আসি। মেলায় ভালোই মিষ্টি বিক্রি হয়। মেলায় ১০-১২ মণ মিষ্টি বিক্রি করা যায়। মেলায় অনেক লোকের সমাগম হয়।
পুরোহিত রবিন্দ্র চক্রবর্তী জানান, পূর্ব পুরুষ থেকে এই গঙ্গাস্নান শুরু হয়েছে। এই গঙ্গাস্নানকে বলে মাঘীপূর্ণিমার গঙ্গাস্নান। ১৫-২০ জন পুরোহিত এই গঙ্গাস্নানে এসেছে। দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন গঙ্গাস্নানে অংশ গ্রহণ করতে। পূণ্যার্থীরা তাদের মনের বাসনা নিয়ে এখানে আসেন। তারা ডুব দিলে তাদের মনের বাসনা পূরণ হয়।