রংপুর, ২৫ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েও শেখ হাসিনার মধ্যে কোনো অনুশোচনা তৈরি হয়নি। তার মধ্যে এখনও হত্যার মানসিকতা আর প্রতিহিংসা রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) রংপুর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, হাজার হাজার শিশু কিশোর তরুণ যুবকের রক্ত নিয়েও এখন রক্ত পিপাসু মন তার। এখনও তিনি প্রতিহিংসা থেকে হত্যার নির্দেশনা দেন। যা একটা স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। এই শেখ হাসিনা ক্ষমতাকে নিজের করে চিরদিন রাখার জন্য নির্বাচন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছেন। ২০১৪ ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ এ নৈশকালীন নির্বাচন এরপর ২০২৪ এ ডামি নির্বাচন করেছেন। যা ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এক লাখ লোক মানুষ মারা যাবে, কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশে এরকম কিছুই ঘটেনি। অথচ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতের সঠিক উন্নয়ন হলে, অবকাঠামো গত উন্নয়ন হলে দেশের মানুষ ভারতে চিকিৎসা নিতে যেতো না। একই বই একই পদ্ধতি বিশ্বের চিকিৎসকগণ একই হওয়ার কথা। তারপরও দেশের মানুষের মাইন্ড সেটাপ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যায়। এটার পরিবর্তন একমাত্র দেশের চিকিৎসকগণ ঘটাতে পারেন। এসময় তিনি ক্রিকেটার তামিম ইকবালের বিষয়টি উল্লেক করে তার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহামুদুল হক সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, রংপুর মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা ড্যাব এর আহ্বায়ক ডা. খালেকুজ্জামান বাদল, সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. দেলওয়ার হোসেন সরকার, ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি ডা. আকমল হাবিব চৌধুরী, ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব শামসুজ্জামান সরকার, মহানগর ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. নিখিলেন্দ্র শংকর গুহ রায়, সদস্য সচিব ডা. শরিফুল ইসলাম ননতু, রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শরিফুল ইসলাম মন্ডল। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, ড্যাব রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখার সদস্য অধ্যাপক ডা. জাবেদ আখতার, ডা. এবিএম মারুফ হাসান প্রমুখ।