রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যথাসময়ে শেষ করার বিষয়ে জোর দিয়েছি : প্রধান উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ২১:৫৫
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৫ মার্চ, ২০২৫(বাসস) : অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ যথাসময়ে শেষ করার বিষয়ে আমরা জোর দিয়েছি।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালকের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন, ‘শিগগির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে’।

ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমি বরাবরই বলে এসেছি, আমরা মহা সৌভাগ্যবান এক জাতি, পৃথিবীর মানচিত্রে আমাদের অবস্থানের কারণে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান—দক্ষিণ এশিয়ার এই চারটি দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে চার দেশই লাভবান হবে। নেপাল ও ভূটান আমাদের জলবিদ্যুৎ দিতে অত্যন্ত আগ্রহী, আমরাও নিতে আগ্রহী। বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে এর কোনো বিকল্প নেই’।

তিনি আরও বলেন, আমাদের রয়েছে এক বিস্তীর্ণ মহাসাগর। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের সামনে বিরাট অর্থনৈতিক সুযোগ এনে দিয়েছে। কুমিরা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ উপকূল ভূমি। এই দীর্ঘ উপকূলজুড়ে বিরামহীনভাবে অনেকগুলি আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র বন্দর, শিল্প কারখানা, রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা স্থাপন করা গেলে পুরো অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভবিষ্যৎ দ্রুত পরিবর্তন সম্ভব।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আনতে পারলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা কমবে। বর্তমানে বিশ্ববাসী পরিবেশ রক্ষায় সচেতন। তারা এটাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পরিবেশবান্ধব বিকল্প পাওয়া গেলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করা যাবে।

নেপাল, ভারত, ভুটান ও বাংলাদেশ নিয়ে যৌথ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘ আমাদের পণ্য, পৃথিবীর পণ্য। এই পণ্য নেপালে যাবে, ভুটানে যাবে, ভারতের সেভেন সিস্টার্সে যাবে। প্রতিবেশীদের পণ্য আমাদের এখানে আসবে, সারা পৃথিবীর কাছে পৌঁছে যাবে, এভাবেই এটি একটি লাভজনক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে দাঁড়িয়ে যাবে। আর এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, আগামীকাল চারদিনের সফরে আমি চীন যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আমার বৈঠক হবে। চীনের বড় বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইওদের সঙ্গেও বৈঠক করব। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ চাইনিজ সোলার প্যানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লংজি বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের আগ্রহ জানিয়েছে। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি।

ড. ইউনূস আরও বলেন, এছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা, মেডিকেল সহায়তা, স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে। তারা আমাদের দেশ থেকে আম, কাঁঠাল ও পেয়ারা আমদানি করতে চায়। এটা খুব দ্রুতই শুরু হবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ৭ দিনব্যাপী দোতারা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু
প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফর ‘অত্যন্ত সফল হয়েছে’ : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গল-এ মুশফিকের রান বন্যা অব্যাহত
শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, ইসরাইল-ইরান সংঘাতের ‘পুরোপুরি অবসান’ চাই : ট্রাম্প
চাঁদপুরে ২০ জন বেদেকে প্রশিক্ষণ শেষে উপকরণ প্রদান
যুক্তরাষ্ট্রের উপ-কাউন্সিলরের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান
২০৩০ সালের মধ্যে নারী ফুটবল ভক্তের সংখ্যা ৮০ কোটিতে পৌঁছাবে
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সাক্ষাৎ
১৫তম সামাজিক ব্যবসা দিবস ২০২৫-এ যোগদান করবেন প্রধান উপদেষ্টা
১০