ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জুড়ে শনিবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহর থেকে বেসামরিক লোকদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এই হামলা চালিয়েছে।

ফিলিস্তিনি অঞ্চল গাজা উপত্যকা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

দীর্ঘ ২২ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বৃহত্তম শহরটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সর্বশেষ হতাহতের এ ঘটনা ঘটল।

আক্রমণের আগে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলের বেসামরিক বিষয়ক দায়িত্বে থাকা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংস্থা কোগ্যাট জানিয়েছে, রোববার থেকে সেনাবাহিনী আরো তাঁবু এবং আশ্রয় সরঞ্জাম সরবরাহ করবে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় জনগণকে সুরক্ষার জন্য স্থানান্তরের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, গাজায় আরো তাঁবু এবং আশ্রয় সরঞ্জাম সরবরাহ পুনরায় শুরু করা হবে।’ 

হামাস এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘এই ঘোষণা ‘গাজা শহর দখলের জন্য নৃশংস আক্রমণের অংশ।’

এর আগে, গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, গাজা শহরের জেইতুন এলাকার পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে এবং ইসরাইলি বোমাবর্ষণের ফলে বাসিন্দাদের খাবার ও পানির খুব কম সরবরাহ করা হচ্ছে।

ওই মুখপাত্র আরো বলেন, গাজা শহরের ওই এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, ‘যাদের বেশিরভাগই খাদ্য বা পানি ছাড়াই’ এবং ‘জীবনের মৌলিক চাহিদা’ থেকে বঞ্চিত’।

গাজায় গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অনেক এলাকায় প্রবেশাধিকারে অসুবিধার কারণে এএফপি স্বাধীনভাবে নিহতরে সংখ্যা এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং অন্যান্য পক্ষের দেওয়া বিবরণ যাচাই করতে পারেনি।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, গাজা শহরের বাসিন্দারা এএফপিকে জানিয়েছেন, জেইতুনসহ আবাসিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্য করে ঘন ঘন বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। এই সপ্তাহের শুরুতে হামাস ‘আক্রমণাত্মক ইসরাইলি স্থল আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে।

বাসাল এএফপিকে জানিয়েছেন, শনিবার মধ্য গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনী জোর দিয়ে বলেছে যে তারা ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অভিযান পরিচালনার  সময়  বেসামরিক ক্ষতি হ্রাস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। একই বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার দেওয়া মৃত্যুর সংখ্যার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী।