ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে।
বুধবার রোম কাভালিয়েরি হোটেলে এ দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত রকিবুল হক ও দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সাদর অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ইতালিয়ান ব্যক্তিবর্গ, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং রোমে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকগণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও ওশেনিয়া ডিভিশনের প্রধান রাষ্ট্রদূত মিজ আলেসসান্দ্রা স্কিয়াভো।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ এবং ইতালির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এসময় রোমের মেয়রের পক্ষ থেকে প্রেরিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়। মেয়রের বাণীতে রোমের অর্থনীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের বিষয় উঠে আসে। তিনি সমাজে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরও গভীরভাবে একীভূত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যের শুরুতেই মহান স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন বলেই রোমের মত ঐতিহ্যবাহী রাজধানীতে নিজের পতাকা উত্তোলন করা, জাতীয় সংগীত বাজানো এবং স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিবাচক এবং সক্ষমতার বিষয় উল্লেখ করেন। তিনি ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা যার যার জায়গা থেকে বাস্তবায়নের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মিজ আলেসসান্দ্রা স্কিয়াভো বাংলাদেশ-ইতালি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সাথে ইতালি সরকারের সুসম্পর্ক, সাম্প্রতিক উচ্চ পর্যায়ের সফরসমূহের কথা উঠে আসে। বাণিজ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-ইতালির সহযোগিতা, শ্রম বাজারের চ্যালেঞ্জসমূহ দূর করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ পালিত হয়। তবে ওই সময়ে পবিত্র রমজান মাস থাকায় দূতাবাস এ আয়োজন করেছে। এসময় দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা এবং বাংলাদেশ কর্নারে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পণ্যসামগ্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈচিত্র্য বিদেশিদের সামনে ফুটিয়ে তোলা হয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি শিশুদের অংশগ্রহণে যন্ত্রসংগীত এর সাথে দেশাত্মবোধক গান ও নৃত্য পরিবেশনা। নৈশভোজে উপস্থিত অতিথিবৃন্দকে বাংলাদেশি এবং ইতালিয়ান খাবার পরিবেশন করা হয়।