ঢাকা, ১১ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস): ১০ এপ্রিলকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন এবং এদিনটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবস উল্লেখ করে আজ এক আলোচনা সভায় বক্তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে এখনও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে বলেছেন, এই ঘোষণাপত্রই বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান। এর আলোকেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছিল।
আজ ঢাকায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান কার্যালয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার ৭২ সালে যে সংবিধান তৈরি করে, তাতে এই ঘোষণাপত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। এমনকি, এ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে এ ঘোষপত্রের কোনো সম্মান বা স্বীকৃতিও দেয়া হয়নি।
সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা দ্বিতীয়বার জীবন দিয়েছে। কিন্তু সে আত্মত্যাগও নানা ষড়যন্ত্রের মুখে পড়েছে। আমরা মনে করি, সংস্কার যাত্রা শুরু না হওয়া পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান সফল হবে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারকে নির্বাচনের মুখোমুখি দাঁড় করানোটা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমরা মনে করি। আমাদের মতামত হলো ন্যূনতম যতটুকু সংস্কারে সকলে একমত হবেন, তা নিশ্চিত করতে সংবিধান সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা সকলের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই পন্থা ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান সেলিম, ফরিদুল ইসলাম, শেখ নাসিরউদ্দীন, সামিউল আলম রাশু। সভার সভাপতিত্ব করেন জাকিয়া শিশির, সঞ্চালনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সমন্বয়ক সোহেল শিকদার।