ঢাকা, ২২ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): জবাবদিহিমূলক শ্রম প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন প্রয়োজন বলে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করে কমিশন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে।
স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন বিষয়ে শ্রম সংস্কার কমিশন সুপারিশে উল্লেখ করে যে জবাবদিহিমূলক শ্রম প্রশাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠন প্রয়োজন। স্থায়ী শ্রম কমিশন গঠনের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে অবিলম্বে শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি ‘জাতীয় সামাজিক সংলাপ ফোরাম’ গঠনে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।
কর্মসংস্থান ও দক্ষতাবৃদ্ধিতে উদ্যোগ গ্রহণ বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘দেশে বিরাজমান বেকারত্ব রোধ, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের প্রসারে কার্যকরী উদ্যোগ রাষ্ট্র গ্রহণ করবে। একইসাথে অ্যাটোমেশন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং উদ্ভূত সুযোগ কাজে লাগাতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পথনকশা তৈরি করার উদ্যোগ নিবে, এক্ষেত্রে শ্রমের যথাযথ ব্যবহার, উৎপাদনশীল যুব শ্রমশক্তি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।’
সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘সকল শ্রমিকের সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার প্রাপ্তি (কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, মৃত্যু, কর্মঅক্ষমতা, অসুস্থতা-অবসর, মাতৃত্বকালীন সুবিধা বা যেকোনো প্রতিকূল অবস্থা) নিশ্চিত করা।’