ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্য এবং কেনাকাটায় অনিয়মসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানকালে টিমের সদস্যরা অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পায়। পরবর্তীতে ওই অফিস থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র সার্বিক পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, পাবনা-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও দালালের মাধ্যমে ঘুষ দাবি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে বিভিন্ন সেবা প্রার্থীদের পাসপোর্ট সেবা প্রদানে হয়রানির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেবা গ্রহীতারা ওই কার্যালয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি স্বীকার হন মর্মে টিমের নিকট পরিলক্ষিত হয়। অধিকন্তু পাসপোর্ট সেবা প্রদানে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া সিলেট জেলার ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা প্রদানে হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয় একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট অভিযানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সাতজন চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র একজন কর্মরত ছিলেন এবং চিকিৎসক নন এমন একজন ব্যক্তি রোগীদের চিকিৎসা ও প্রেসক্রিপশন প্রদান করছিলেন বলে টিম প্রত্যক্ষ করে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতিতে নার্সরা স্বাক্ষরবিহীন প্রেসক্রিপশন লিখে ওষুধ দিচ্ছিলেন-এমন প্রমাণও পায় দুদক টিম। রান্নাঘরে সরেজমিন পরিদর্শনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগীদের জন্য নিম্নমানের খাবার প্রস্তুতির প্রমাণ পাওয়া যায়। এমনকি বিভিন্ন সময়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভুয়া রোগী ভর্তি দেখানো হয়েছে এমনটি দুদক টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত হাজিরার রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়, অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অনিয়মিত। এমনকি সিভিল সার্জনের পরিদর্শনের সময়ও অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। পূর্ববর্তী পরিদর্শন প্রতিবেদনগুলোতেও এসব অনিয়ম আড়াল করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযানকালে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়।