ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেঘনা নদীতে আবারও ভাঙন শুরু, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

বাসস
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:২৭
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : মেঘনা নদীতে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জেলার সরাইলে উপজেলার একের পর এক গ্রাম। 

বিশেষ করে ভাঙন শুরু হয়েছে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলো।ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কৃষি জমি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও শতাধিক পরিবার ও কৃষি জমি। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো ও স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। 

পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর হোসেন জানালেন ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে একটি স্থায়ী প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। 

জানা যায়, সরাইল উপজেলায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আবারও তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। সরাইল উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী ৮/১০ গ্রামে  ভাঙন শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিনে অন্তত ২০/২০টি ঘর-বাড়ি একেবারে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর অব্যাহত ভাঙনের কারনে ঝুঁকিতে আছে নদী তীরবর্তী আরও অন্তত শতাধিক ঘর-বাড়ি। প্রমত্তা মেঘনার ভাঙ্গনে অধিকাংশ মানুষ ঘরবাড়ি, ফসলি জমিজমা, ব্যবসায়িক দোকানপাট হারিয়ে হয়ে গেছেন সর্বস্ব^সংক্রান্ত। এখন ভয়ে অনেকেই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে নিয়েছেন। কেউ আবার টিনের ঘরই সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র। 

ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, তাদের বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তারা কোনো রকম প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র-গবাদিপশু কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। এখন মানবেতর অবস্থায় আছেন। এই অবস্থায় সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত উসমান চৌধুরী জানান, মেঘনা নদী ভাঙনের ফলে আমার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় মলাই মিয়া জানান, শুধু ভেঙেই থেমে থাকছে না। গভীর রাতে কৃষি জমি ও বসতবাড়ির মাটি ডেবে যায়। স্থানীয়রা একে নিশি বলে থাকে। সাবেক ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া জানান, এভাবে ভাঙতে থাকলে একদিন পানিশ্বর মেঘনা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। বর্তমান ইউপি সদস্য ছাদু মিয়া জানান, বর্ষার শুরুতে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। আপাতত অস্থায়ী ভিত্তিতে মেঘনা নদীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ প্রাথমিক ভাবে ভাঙন রোধে দেওয়ার দাবি জানান।

সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন জানান, নদী ভাঙন এলাকা আমি সরেজমিনে একাধিকবার পরির্দশন করেছি। প্রাথমিক ভাবে উপজেলা পরিষদ থেকে নদী ভাঙন রোধে জিও  ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। 

এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে একদিন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রাম গুলো। পাশাপাশি দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে সরাইলে মানচিত্র। তবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয়দের দাবি ভাঙন রোধে দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
গুলিস্তান-আজিমপুরে বাস পোড়ানোর গুজব : ডিএমপি’র সতর্কবার্তা
কে-পপ অডিশনের সমাপ্তি : বাংলাদেশি তরুণদের প্রশংসা দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রদূতের
সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ১৫ অক্টোবর
গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি
ঝিনাইদহে জুলাই শহীদদের স্মরণে কৃষকদলের বৃক্ষরোপণ
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবার ভাগ্য নির্ধারণী উচ্চকক্ষ নির্বাচন আজ
আশ্রয় স্থগিতাদেশের পর প্রথম আগত অভিবাসীদের আটক করল গ্রিস
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই ১৪ বছরের: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
১০