ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করেছে।
পাকিস্তানের মন্ত্রীবর্গ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং প্রবাসী বাংলাদেশীসহ পাঁচ শতাধিক অতিথি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইকবাল হোসেন খান, তার স্ত্রী নাহিদ রওশন এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। এছাড়া পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান, সমুদ্র বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ জুনাইদ আনোয়ার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তারিক ফজল চৌধুরী, পাকিস্তানের পরিকল্পনা উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক মন্ত্রী আহসান ইকবাল চৌধুরী, উচ্চশিক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুখতার আহমেদ, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও গবেষণা প্রতিমন্ত্রী মালিক রশিদ আহমেদ খান, ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিমন্ত্রী কিশো মাল খেল দাস, জাতীয় পরিষদের সিনেটর ও সদস্যবৃন্দ এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
হাই কমিশনার মো.ইকবাল হোসেন খান মুক্তিযোদ্ধা এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করে উভয় দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে ফেডারেল মন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে অভিনন্দন জানান।
তিনি আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তুলে ধরে তিনি উভয় দেশের জনগণের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য এই সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
হাই কমিশনার পরে প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিদের সাথে একটি কেক কাটেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশী বিভিন্ন ধরণের সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করে আপ্যায়ন করা হয়।