ঢাকা, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : কলম্বিয়ায় দুটি পৃথক গেরিলা হামলায় বৃহস্পতিবার ১৮ জন নিহত ও অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলম্বিয়ায় ভিন্নমতাবলম্বী গেরিলা গোষ্ঠীকে এই দুটি হামলার জন্য দায়ী করা করা হয়েছে।
একটি ঘটনায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাকের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়েছে এবং অপর ঘটনায় ড্রোনের মাধ্যমে একটি পুলিশ হেলিকপ্টারকে ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই হামলাগুলো কয়েক দশকের মধ্যে দেশের সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা সংকটকে আরো গভীর করে তুলেছে।
কলম্বিয়ার ক্যালি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ক্যালি ও উত্তরে একটি কোকা খামারে আঘাত হানা সর্বশেষ প্রাণঘাতী হামলাগুলো আগামী বছর নির্বাচনের আগে কলম্বিয়ার ভঙ্গুর শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে (২০০০ জিএমটি), ক্যালির একটি সামরিক বিমান চলাচল স্কুলের কাছে একটি ব্যস্ত রাস্তায় বিস্ফোরক বোঝাই একটি ট্রাক বিস্ফোরণে ছয় জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী প্রত্যক্ষদর্শী হেক্টর ফ্যাবিও বোলানোস এএফপিকে বলেন, ‘বিমান ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।’
তিনি আরো বলেন, এ হামলায় অনেকেই আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ৪০ বছর বয়সী অ্যালেক্সিস আতিজাবাল বলেন, ‘এভিনিউ দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনের মধ্যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যানবাহনে আগুন ধরে গেছে, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, আহত মানুষ মাটিতে পড়ে আছে ও আতঙ্কিত হয়ে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় অ্যালার্ম ও ভীত-শঙ্কিত মানুষের চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
ক্যালির মেয়র আলেজান্দ্রো এডার দেশের তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহরে সামরিক আইন জারি করেছেন।
তিনি শহরে বড় ট্রাক প্রবেশের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞাও ঘোষণা করেছেন এবং ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কারের জন্য জনসাধারণকে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ এই হামলার জন্য সেন্ট্রাল জেনারেল স্টাফ (ইএমসি) গেরিলা গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন, যার নেতৃত্বে ছিলেন যুদ্ধবাজ ইভান মর্ডিস্কো।
২০১৬ সালে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির জন্য অস্ত্র সমর্পণে সম্মত হওয়ার পর এই গোষ্ঠীটি বিলুপ্ত রেভোলিউশনারি আর্মড ফোর্সেস অফ কলম্বিয়া (এফএআরসি) থেকে আলাদা হয়ে যায়।