ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে খাগড়াছড়িতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত

বাসস
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৫, ১৩:৫৫ আপডেট: : ১১ মে ২০২৫, ১৬:১৯
খাগড়াছড়িতে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত। ছবি : বাসস

খাগড়াছড়ি, ১১ মে, ২০২৫ (বাসস) : বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা ব্যাপক উৎসাহ  উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জেলায় উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রবিবার খাগড়াছড়ির প্রতিটি বিহারে বিহারে চলছে প্রার্থনা, ছোয়াইং দান, জল সিঞ্চনসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্ব লাভ ও পরিনির্বাণ এ তিনটি স্মৃতিকে স্মরণ করে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি উদযাপন করে। 

বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দিনটি উদযাপন করা হয় বলে একে বৈশাখি পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধি লাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত এ দিনটিকে বৌদ্ধরা নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকে। 

এ উপলক্ষে আজ সকালে খাগড়াছড়ি যংদ্দ বিহার প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দায়ক-দায়িকা, নর-নারী, যুবক-যুবতীরা অংশ নেন। এছাড়াও সকাল থেকে জেলা শহরের প্রতিটি বিহারে বিহারে চলছে ছোয়াইং দান, মোমবাতি প্রজ্জ্বালন, বোধি বৃক্ষের নিকট উপস্থিত হয়ে সেখানে জল সিঞ্চন, পঞ্চশীল অষ্টশীল গ্রহণ, ধর্মীয় নির্দেশনাসহ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা। 

বিহারে আসা দায়ক-দায়িকারা বলেন, আমাদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনে আমাদের ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই আমরা প্রতি বছর এই দিনটি নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পালন করে থাকি। আজকে আমরা সকালে বিহারে এসেছি, ছোয়াইং দান করেছি, বোধিবৃক্ষে চন্দন জলসিঞ্চন করেছি। বিকালে হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে সমবেত প্রার্থনা করবো। যাতে জগতের সকল প্রাণী সুখী হয় এবং আমাদের সকলের মনে শান্তি আসে। 

এদিকে পূর্ণিমা তিথি উপলক্ষে আজ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সাধনাটিলা বনবিহারের উদ্যোগে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বাবুছড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ  থেকে শুরু হয়ে মুড়াপাড়া চৌমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর-নারী ও শিশু-কিশোররা অংশ গ্রহণ করেন। পরে সাধনা টিলা বনবিহারের হলরুমে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করা হয়। উক্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত বৌদ্ধ নর-নারীরা দেশ জাতি তথা সকলের মঙ্গল কামনায় বুদ্ধ পূজা পঞ্চশীল গ্রহণের পর  বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিক্কার দান, হাজার প্রদীপ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ড দানসহ নানাবিধ দান করেন। 

অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সমবেত পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। সাধনা টিলা বন বিহারের বিহারধ্যক্ষ বুদ্ধ বংশ মহাস্থবির ভান্তে অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন । সাধনাটিলা বনবিহার ছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে মহাসমারোহে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় সমবেত প্রার্থনায় অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
পারমাণবিক আলোচনা ‘কঠিন হলেও ফলপ্রসূ’: ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ‘উৎসাহিত’
পারমাণবিক ইস্যুতে ‘সংঘাতমূলক কৌশল’ না নিতে ইউরোপীয় শক্তিগুলোর প্রতি ইরানের হুঁশিয়ারি
কাশ্মীর সীমান্তে আতঙ্ক কাটেনি
উত্তরা পাবলিক লাইব্রেরি রত্নগর্ভা মা সম্মাননা পেলেন ৩১ মা
বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ : বাণিজ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বজ্রপাতে শিশুসহ ৫ জন নিহত
ঢাকার ফুটপাত ও সড়ক পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক 
রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর উদ্যোগে বিভিন্ন এতিমখানায় খাবার বিতরণ
সবার জন্য চিকিৎসাসেবা উন্মুক্ত করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল
বঙ্গোপসাগরকে প্লাস্টিক দূষণ থেকে মুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ
১০