ঢাকার সবুজায়নে ১ জুন থেকে বৃক্ষরোপণ শুরু : ডিএনসিসি প্রশাসক

বাসস
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:১২ আপডেট: : ১৫ মে ২০২৫, ১৭:৩৫
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, পহেলা জুন থেকে ঢাকা শহর জুড়ে খাল, লেক, উন্মুক্ত স্থান ও মাঠে ব্যাপক আকারে উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণের কাজ শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইতিমধ্যে পুরো নগরের জন্য ল্যান্ডস্ক্যাপ আর্কিটেক সম্পন্ন হয়েছে। উদ্ভিদবিদদের পরামর্শে খাল ও লেক পাড়ে গাছ লাগানো হবে। তিনি এই উদ্যোগগুলোকে সফল করতে সকল অংশীদারকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।

বুধবার ডিএনসিসি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘খাল বাঁচলে, বাঁচাবে নগর- প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উত্তম চর্চার প্রসার’ শীর্ষক এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আগে খাল খনন করতে ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করা হতো কিন্তু দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখতে পেতাম না। আর এখন  ১০০ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার করতে খরচ হচ্ছে ১০ কোটি টাকারও কম ।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের ৩৩ টি খালকে রক্ষণাবেক্ষণ ও দুইপাড়ে গাছ লাগিয়ে সবুজায়ন করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দিয়েছি। প্রতি এক কিলোমিটার খালের পাড়ে গাছ লাগানো ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে মালী নিয়োগ দিচ্ছি।

এ সময়ে প্লাস্টিক ফ্রি রিভারস অ্যান্ড সিস ফর সাউথ এশিয়া (please) প্রকল্পের আওতায় কল্যাণপুর খাল এলাকায় বাস্তবায়িত একটি পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হয়।

ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, এই প্রজেক্ট থেকে প্রাপ্ত ভাসমান বর্জ্যের শ্রেণিবিন্যাস করতে পারলে তা বর্জ্য উৎপাদনকারীদের কাছে উপস্থাপন করা যেতো। যাতে তারা পরবর্তীতে সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আসতে পারে।

সভায় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন বলেন, ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ড্রেন সিস্টেম থাকলেও খালের প্রবাহ মাত্র ৮৬ কিলোমিটার। ড্রেনে আবর্জনা ফেলা এবং খালে প্লাস্টিক জমে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে, যা নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র উপদেষ্টা ড. শিবলী সাদিক বলেন, পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার, জনগণ, সিভিল সোসাইটি, জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতকে একযোগে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে। এই প্রকল্পটি তারই একটি উদাহরণ।

সভাপতির বক্তব্যে ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, পাউডারের খোল মাইক্রোপ্লাস্টিক এটা যেন খালে বা জলাশয়ে না আসে, সেজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। একসাথে কাজ করলেই টেকসই সমাধান সম্ভব।

এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সভাটি নগরের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কার্যকর সমাধান, নীতিনির্ধারণী পরামর্শ এবং অংশীদারিত্বভিত্তিক উদ্যোগের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে উপস্থিত বক্তারা মত প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সিঙ্গাইরে জনপ্রিয় হচ্ছে পেঁপে চাষ
দূষণ রোধে ৯১৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ২৫ কোটি টাকার অধিক জরিমানা
সরকারি খরচায় ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭৯টি আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়েছে
ট্রাক্টরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লক্ষ্মীপুরে এক যুবক নিহত 
ফের আলোচনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ডিএমপি’র মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা
লিগ্যাল এইড-এ এডিআর সেবা পেয়েছেন ২,৮৩,৪০৫ জন অসচ্ছল বিচারপ্রার্থী
সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবিতে দিনভর বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু
ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার
১০