চট্টগ্রাম, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর নায়েবে আমির ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ একজন কর্মবীর ছিলেন উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তিনি ছিলেন জীবন্ত উপন্যাস। মানুষ দেখে, শুনে, পড়ে শিখে। তিনি এমনই একজন মানুষ যাকে দেখা, শোনা ও পড়া যেত। কবি মতিউর রহমান মল্লিকের শূন্যতা পূরণ হয়েছিল তাকে দিয়ে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মরহুম ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র স্মরণে চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গুণী মানুষ যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন সমাজ তার মূল্য বুঝে না। যখন তার অস্তিত্বের অনুপস্থিতি দেখা দেয় তখন সবাই হাড়ে হাড়ে টের পায়। এর মূল্য অমাবস্যার রাতে বোঝা যায়। আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহর মৃত্যুর পর আমরা হাড়ে হাড়ে তা টের পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র উপর আমাদের তিনটা উইংয়ের গুরু দায়িত্ব ছিল। সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং শিক্ষা। এখন আমরা এই জায়গায় পেরেশান হয়ে লোক খুঁজছি। ইনশাল্লাহ লোক পাবো, কিন্তু আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ’র মত মানুষ আমরা পাবো না।
চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির সভাপতি সেলিম জামানের সভাপতিত্বে ও কবি অধ্যক্ষ চৌধুরী আব্দুল হালিম এবং গীতিকার গোলাম মোস্তফার যৌথ সঞ্চালনায় স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমির ও সাবেক এমপি আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
স্মৃতিচারণ করেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি ড. আবু বকর রফিক আহমদ, মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মুহাম্মদ আলী আজাদী, ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহর বড় ছেলে উমর মুসান্না। দোয়া ও মুনাজাত করেছেন মাওলানা এ বি এম সিদ্দিকুল্লাহ।