হবিগঞ্জ, ১৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত বাসে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি ও মূলহোতা বাসটির হেলপার লিটন মিয়াকে (২৬) ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে র্যাব-৯, সিলেট সদর কোম্পানি ও শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের যৌথ আভিযানে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানাধীন জালালপুর এলাকা থেকে লিটন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া বাসের হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রশিদপুর গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী বানিয়াচং উপজেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। রোববার ঢাকা থেকে দাদার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে যাওয়ার জন্য বিলাশ পরিবহণের একটি বাসে ওঠে ঘুমিয়ে পড়েন ওই তরুণী। বাস থেকে শায়েস্তাগঞ্জ নামার কথা থাকলেও ঘুমিয়ে থাকায় বাসটি সিলেটে চলে যায়। পরে সিলেট থেকে নবীগঞ্জ হয়ে বানিয়াচং যাওয়ার জন্য সিলেট থেকে ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি বাসে ওঠেন ওই তরুণী। বিভিন্ন স্টপেজ থেকে যাত্রী নেমে গেলে বাসটি ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে পড়ে। শেরপুর এলাকায় পৌঁছার পর অন্যান্য যাত্রীরা নেমে গেলে বাসে ওই তরুণী একা হয়ে পড়েন। তখন একা পেয়ে প্রথমে বাসের হেলপার ও পরে চালক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
পরে বাসটি আউশকান্দি এলাকায় পৌঁছলে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেন। রাত ১২টার দিকে নবীগঞ্জ-আউশকান্দি সড়কের ছালামতপুর এলাকায় স্থানীয়রা বাস চালককে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে এবং তরুণীকে উদ্ধার করে। তবে কৌশলে হেলপার পালিয়ে যায়।
সোমবার সকালে তরুণী নিজেই নবীগঞ্জ থানায় সাব্বির ও লিটনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই তরুণীকে চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।