চাঁদপুর, ১৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : চাঁদপুরসহ দক্ষিণের জেলাগুলোতে ইলিশের মূল্য নির্ধারণ চায় জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি গণমাধ্যমের হাতে আসে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাচীনকাল থেকে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনা নদীর ইলিশ অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মানের দিক থেকেও অতুলনীয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম জেলা ব্র্যান্ডিং হিসেবে চাঁদপুর জেলাকে ‘ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর’ হিসেবে সরকার স্বীকৃতি দেয়। ইলিশের সুস্বাদুতার সুযোগ নিয়ে চাঁদপুর ও আশপাশের জেলার কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও আড়ৎদার নিজের ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন, যা একেবারেই ক্রেতার নাগালের বাহিরে। এমনকি চাঁদপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদেরও অভিযোগ-চড়া মূল্যের কারণে ইলিশ তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, জাতীয় মাছ ইলিশের মূল্য নির্ধারণের জন্য বাস্তব চিত্র তুলে ধরে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
চাঁদপুরের পাশাপাশি বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, নোয়াখালী, বড়গুনা ও ঝালকাঠিসহ আরো অনেক সাগর তীরবর্তী জেলায় ইলিশ ধরা পড়ে। নদী কিংবা সাগরে উৎপাদিত ইলিশে জেলেদের কোন উৎপাদন খরচ লাগে না। এরপরেও ইলিশের দাম অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।
চাঁদপুর মৎস্য ও বণিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক হাজী সবেবরাত সরকার বলেন, চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে যে পরিমাণ ইলিশের চাহিদা, ওই পরিমাণ আমদানি হয় না। অল্প কিছু ইলিশ আসে, যে কারণে দাম বেড়ে যায়।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মির্জা ওমর ফারুক বলেন, মৎস্য বিভাগ বছরজুড়েই ইলিশ সরবরাহের তথ্য সংরক্ষণ করে। যদি কোন সংস্থা মূল্য জানতে চায়, তখন ওই সময়ের বাজার দর দেওয়া হয়।