আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু

বাসস
প্রকাশ: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩:৩১ আপডেট: : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৪২

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আজ এই আদেশের মধ্য দিয়ে মামলাটির বিচার শুরু করে।

গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় অভিযোগ গঠনের আরজি পেশ করে শুনানি করেন।

অন্যদিকে, এই মামলায় যাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের মধ্যে গ্রেফতার ছয়জন আজ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। 

তারা হলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

গত ৩০ জুন আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন আবু সাঈদ। ২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন।

শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি চলাকালে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করছে-সেই দৃশ্য দেশের টিভি চ্যানেলগুলো সরাসরি সম্প্রচার করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। এতে সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং ছাত্র-জনতা প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হয় এবং জনসম্পৃক্ততা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ‘হাসিনার পদত্যাগ’ এক দফা দাবিতে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে-এমন অভিযোগ একের পর এক জমা পড়ে। এই অপরাধগুলোর বিচার এখন চলছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে সঠিকভাবে পুনর্গঠন করতে হবে : গোলাম পরওয়ার
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদকে নিয়ে এআই প্রযুক্তির বিভ্রান্তিকর ছবি, ডিএমপির প্রতিবাদ
সচিব হলেন মঈন উদ্দিন আহমেদ
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৬২ কর্মকর্তা
নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আগামী মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে ইসি
জাপানের স্বেচ্ছাসেবক নার্স পাচ্ছেন ‘ফরেন মিনিস্টারস কমেনডেশন’
হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে বেগম খালেদা জিয়ার
দক্ষিণ সুদানে নৌবাহিনীর ১৯৯ সদস্য পেয়েছেন শান্তিরক্ষা পদক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইসির কর্মপরিকল্পনা
নেপাল-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত
১০