ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর, দিবসটির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার কানাডার রাজধানীতে ঐতিহাসিক এই গণ-আন্দোলনের চেতনা প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
এই দিন অটোয়ায় যুব নেতা, শিক্ষাবিদ ও আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য একত্রিত হন।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত ‘মনসুন রাইজিং: সেলেব্রেটিং ইয়ুথ রিজিলিয়ানস-ওয়ান ইয়ার আফটার’-শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং একটি ন্যায়সঙ্গত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা সোবহান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানো সাহসী ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন।
আজ এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় একথা বলা হয়েছে।
নাহিদা সোবহান তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদদের স্মরণ করি এবং দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে চলি।
শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের আগে এই উপলক্ষে জারি করা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
এ সময় জুলাই মাসের ঘটনাবলীর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়-যেখানে ন্যায়বিচার, সাম্য ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ জুড়ে গণসংহতির কথা তুলে ধরা হয়।
এরপর প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি প্রবাসী উভয় পক্ষের বিভিন্ন বক্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন- মুস্তাহিদ হোসেন (লেখক এবং নৃবিজ্ঞানী, টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়), প্রাপ্তি তাপসী (ছাত্রনেত্রী ও নারীবাদী কর্মী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), রাফিদ হোসেন (তদন্তকারী প্রযোজক, বিবিসি আই), সৃজনী রহমান (পিএইচডি গবেষক এবং জনসেবক, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়) ও তানহা তানজিলা (যুবকর্মী ও শরণার্থী অধিকার আইনজীবী, ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়)।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিশেষজ্ঞ শুচিতা হোসেন।
আলোচনায় জুলাইয়ের আন্দোলনের মূল ও তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। এ সময় প্যানেলিস্টরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও সামাজিক রূপান্তর গঠনে যুব-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অবদানের ওপর আলোকপাত করেন।
অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে শান্তি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচার প্রচারের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানিয়ে এবং ‘অত্যাচার আর কখনও যেন উত্থিত না হয়’- তা নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।
এই অনুষ্ঠানে কানাডায় বসবাসকারী বাংলাদেশি প্রবাসী, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, বিদেশী কূটনীতিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।