ঢাকা, ১১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): পাবলিক টয়লেট ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ পানি-স্যানিটেশন-স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) সেবার মানোন্নয়নে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশ-এর মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ সোমবার ডিএনসিসি কনফারেন্স রুমে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।
ডিএনসিসির পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
২০১৪ সালের আগস্ট থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদনক্রমে ডিএনসিসি ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে রাজধানীতে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, সংস্কার, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন আঙ্গিকে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হলো।
এ সময় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের নির্দেশনা ও অনুমোদনক্রমে উভয় পক্ষ পাবলিক টয়লেট ও ওয়াশ সেবায় যৌথভাবে আধুনিক ও টেকসই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
সমঝোতা অনুযায়ী পাবলিক টয়লেট স্থাপন, সম্ভাব্যতা যাচাই, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, টয়লেট পরিচালনা নির্দেশিকা ২০১৮ সংশোধন ও হালনাগাদসহ ব্যবস্থাপনা কাঠামো আধুনিকায়নে উভয় পক্ষ কাজ করবে। পাশাপাশি বিদ্যমান ইজারা পদ্ধতি ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে তা আরও কার্যকর করা হবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিজ্ঞাপনদাতা ও অন্যান্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পাবলিক টয়লেট পরিচালনার আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
এছাড়া মডেল পাবলিক টয়লেট ও রেটিং সিস্টেম চালু, নারীবান্ধব ‘পিঙ্ক টয়লেট’ ও নিম্ন আয়ের পুরুষদের জন্য ‘নীল টয়লেট’ ব্যবস্থাপনায় টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ব্যবহারবান্ধব মডেল প্রণয়ন করা হবে।
ডিএনসিসির নেতৃত্বে পাবলিক টয়লেট সেবাদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি নেটওয়ার্ক গঠন এবং নিয়মিত জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এসব কার্যক্রমে সার্বিক কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শ দেবে।