রাজবাড়ী, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): পদ্মা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে প্রবল স্রোতে জেলা সদর এবং গোয়ালন্দ উপজেলায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভেসে গেছে দৌলতদিয়া ঘাট, ব্যাহত হচ্ছে চলাচল।
এ ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে মহাদেবপুর, চর সেলিমপুর চর বেতকা, রামচন্দ্রপুর, চর জিকুরি ভাঙন রোধে ২৪০০ জিও ব্যাগ ফেলেছে। মুহূর্তের মধ্যে তীব্র স্রোতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে জিও বাগ।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার আকস্মিক তীব্র ঘূর্ণি স্রোতে চর জৌকুরা এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বিভিন্ন এলাকা হতে প্রায় ১২০০ মিটার এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল আমীন, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা সামিয়া হক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা শামীম আহসান, এলাকা পরিদর্শনে যান।
আজ রোববার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।আগামীতে ভাঙন রোধে ব্লক এবং জিও ব্যাগ ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে ।
সদর উপজেলার মহাদেবপুর এলাকার স্থানীয় জনগণ জানান, এই এলাকা বন্যা মওসুমের পরেই শুরু হয় বালু খেকো দের তাণ্ডব, ফলে এলাকার মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন হুমকির সম্মুখীন , এলাকা বাসী আরো জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তীরের বালু সরে গেছে। এতে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আধা কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত আছে।
ফলে এ এলাকায় মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি এখন হুমকির মুখে। বিআই ডব্লিউ টি এ দায়িত্বে দৌলতদিয়া ঘাট ম্যানেজার নাসিম হোসেন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে লঞ্চ ঘাট,এবং ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙন এবং তীব্র স্রোতে ফেরি গুলো দ্রুত ঘাট এলাকায় ভেড়াতে পাচ্ছে না। ফলে যাত্রী এবং গাড়ি ওঠা নামায় সময় ক্ষেপণ হচ্ছে। বি আই ডব্লিউ টি এ কর্তৃ পক্ষ সালাউদ্দিন জানান, ওঠা নামায় সমস্যা হওয়ায়, আগে প্রতিদিন যেখানে ১৫-১৭ টি ফেরি চলাচল করত এখন সেখানে ১২ টা চলছে।
আগে গাড়ি পারাপার হতো ১৭০০-১৮০০ এখন সেখানে চলছে ১২০০ চেয়ে কম।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
আজকে ৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৯দশমিক ৫ সেন্টিমিটার হয়েছে। আরও ১৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে গেলে, বিপদ সীমা অতিক্রম করবে।