ভোলা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : মশক নিধনে ভোলা পৌরসভার একটানা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। পৌরবাসীকে নিরাপদ ও ডেঙ্গুমুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের এ কার্যক্রম অতীতের তুলনায় আরো বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছেন।
জেলা সদরের শতবছরের ঐতিহ্যবাহী এ পৌরসভার ওয়ার্ডগুলোতে বিগত ১৭ বছর মশক নিধন কর্মকান্ড ছিলো শুধুই লোক দেখানো। পৌর এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট জমানায় এ পৌরসভায় মশক নিধন কার্যক্রমের জন্য বরাদ্ধকৃত কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। তখন এসব বিষয় কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলে সেইসময়ের মেয়র ও তার চেলাচামুন্ডারা পৌরবাসীর উপর জুলুম নির্যাতনের ষ্টীম রোলার চালাতো।
পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার,আব্দুল হাই ও মনোয়ারা বেগম জানান, বিগত ১৭ বছর আমরা পৌর ট্যাক্স পরিশোধ করলেও ওই প্রতিষ্ঠান আমাদের মশক নিধনসহ সকল সূযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছিলো, কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর থেকে আমরা এখন অনেকটাই স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলতে পারছি।
৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল খালেক, মশিউর ও রুহুল আমিন বলেন, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার নাগরিক হলেও বিগত ১৭ বছর আমরা ছিলাম ৪র্থ শ্রেনীর নাগরিকদের চাইতেও চরম অবহেলিত, তবে এখন দূ:সময়ের সেই মেঘ কাটতে শুরু করেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের অসংখ্য পৌরবাসীর কষ্টের দীর্ঘশ্বাসের অনুভূতি আর অভিযোগগুলো একইরকম।
ভোলা পৌর স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মো. উমর ফারুক জানান, দক্ষ জনবল দিয়ে পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ডে এখন প্রতিদিন মশক নিধন কর্মকান্ড সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পৌরসভাকে ভঙ্গুর দশা থেকে অনেকটা সমস্যামূক্ত করতে পেরেছি। মশক নিধনে আমাদের পৌরসভায় পর্যাপ্ত ক্যামিক্যাল, স্প্রে মেশিন ও প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দেশের প্রথম শ্রেনীর অন্যতম এ পৌর শহরটি তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে।