কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জেলার তিতাস উপজেলায় শিশু সায়মন হত্যা মামলায় আসামি বিল্লাল পাঠান (৫৫)কে মৃত্যুদণ্ড এবং সায়মনের চাচি শেফালী বেগম (৪৫)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্র পক্ষের সহকারী কৌশলী (এপিপি) ইকরাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এপিপি জানান, ২০২৩ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে সাত বছরের শিশু সায়মন মায়ের সঙ্গে বাতাকান্দি বাজারে যায়। সেখান থেকে পানীয় কিনে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৮ আগস্ট তিতাস থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরদিন ১৯ আগস্ট সকালে বজলুর রহমানের বালুর মাঠের ঝোপ থেকে সায়মনের অর্ধগলিত ও পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সায়মনের মা খোরশেদা আক্তার বাদী হয়ে চাচি শেফালী বেগম ও অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে বিল্লাল পাঠানের নাম উঠে আসে। পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শেফালী বেগম ও বিল্লাল পাঠানকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। দীর্ঘ শুনানির পর ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
রায়ে আসামি বিল্লাল পাঠানকে মৃত্যুদণ্ড ও শেফালী বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশু সায়মনের মরদেহ গুমের অভিযোগে দুইজনকেই আরও পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন আদালত।
আইনজীবী ইকবাল হোসেন বলেন, চাচি শেফালী বেগমের সঙ্গে বিল্লাল পাঠানের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় শিশু সায়মনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গুমের চেষ্টা চালানো হয়।