কুমিল্লা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার-ভিডিপি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, ৬০ লাখ আনসার-ভিডিপি দেশ ও জাতির সেবায় সদা প্রস্তুত রয়েছে।
কুমিল্লার রেঞ্জ পরিদর্শন শেষে আয়োজিত দরবারে মহাপরিচালক আনসার-ভিডিপি সদস্যদের নিজস্ব সক্ষমতা ও পেশাদারিত্বের ভিত্তিতে জাতির সেবায় আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি একই সঙ্গে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, যোগ্য সদস্য নির্বাচন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা গড়ে তোলার মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মহাপরিচালক বাহিনীর নবগৃহীত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এটি বাহিনীর বিশাল স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের জীবিকা উন্নয়ন ও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসংস্থানের এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় আনসার ও ভিডিপির অবদান স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যদের পাশাপাশি হিল আনসার-ভিডিপি কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। সমতলেও সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের মান পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি নিবেদিত ও সুশৃঙ্খল।’
মহাপরিচালক বাহিনীর শৃঙ্খলার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথাও তুলে ধরে বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণের ফলে বাহিনীর শৃঙ্খলা আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি আরও জানান, বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের রেশন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মহাপরিচালক বলেন, ‘বাহিনীর সদস্যদের আস্থা অর্জন এবং পেশাদারিত্ব জোরদারে কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা নয়; আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের মাটি ও মানুষের সেবায় ৬০ লক্ষাধিক ভিডিপি সদস্যকে গুণগতভাবে কাজে লাগানো। দুর্যোগ ও জাতীয় সঙ্কটময় সময়ে এই বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সদস্যদের বাহিনী সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধির মূল পথ তৈরি করছে।’
সঞ্জীবন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সঞ্জীবন প্রকল্প কেবল একটি কর্মসূচি নয়, এটি প্রান্তিক কর্মহীন জনগোষ্ঠীর উত্তরণের আলোকবর্তিকা। প্রকল্পটি গ্রামীণ অর্থনীতিকে জাগ্রত করবে এবং দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ছিন্ন করে সমাজকে মুক্তির পথে এগিয়ে নেবে।’
এ সময় কুমিল্লা রেঞ্জ পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।