দুর্গাপূজায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচ্ছিন্ন ঘটনার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১৮
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : দুর্গাপূজায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচ্ছিন্ন ঘটনার বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে যাতে আমাদের এই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশকে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর গোলপাহাড় মহাশ্মশান কালীমন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ধর্ম উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘দুর্গাপূজা উদযাপন যেখানে হবে, মণ্ডপে-মন্দিরে সিসি ক্যামেরা বসান। রাতের অন্ধকারে যাতে কেউ অপকর্ম করে পার না পায়। এ ব্যাপারে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সক্রিয় আছে। গোয়েন্দারাও বিভিন্ন জায়গায় তৎপরতা চালাবে। আমি জেলা প্রশাসকদের বলে দিয়েছি, হটলাইন চালু থাকবে। আপনারা যদি কোনো আশঙ্কা অনুভব করেন, তাহলে হটলাইনে জানালে মুহূর্তের মধ্যে তারা আপনাদের পাশে এসে দাঁড়াবে।’

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, আমি সব সময় বলে থাকি, যারা যে কোনো ধর্মের উপাসনালয়, মাজার, ধর্মীয় স্থাপনায় পাথর নিক্ষেপ করে অথবা অপবিত্র করতে চায়, তারা কালপ্রিট, তারা অপরাধী, তাদের কোনো ধর্মীয় পরিচয় নেই।

তিনি বলেন, ‘এই যে নানা ধর্ম, নানা বর্ণ, নানা জাতি, মসজিদে আজান হয়, এখানে শঙ্খধ্বনি হয়, এই যে বৈচিত্র্য, এই বৈচিত্র্যের মাঝেই আমাদের ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে। এদেশ আমাদের সবার, আমাদের অন্তরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমি আমার ধর্ম পালন করবো, আমি আমার ধর্ম চর্চা করবো, অন্যরা যাতে নির্বিঘ্নে তার ধর্ম পালন করতে পারে, সেই সুযোগও আমাকে করে দিতে হবে।’

ধর্ম অবমাননার দায় ব্যক্তির, পুরো সম্প্রদায়ের নয়- এ মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, ‘কেউ যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, সেই অপরাধের জন্য ব্যক্তি দায়ী হবে, সম্প্রদায় নয়। কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপরাধ করে থাকে, ধর্ম অবমাননা করে থাকে, কটূক্তি করে থাকে, ব্যঙ্গ করে থাকে, এর জন্য সেই ব্যক্তিই দায়ী থাকবে, তার কমিউনিটি নয়, সম্প্রদায় দায়ী নয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় আইন হাতে তুলে নিই। হামলা, মামলা, লুটপাট করি। আইন হাতে নিলেই আইনের শাসন নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অপরাধী শাস্তি পাবে, আমরা সব সময় এ ব্যাপারে সচেতন আছি। আমরা এখনও আছি, অতীতেও ছিলাম, আগামী দিনেও মিলেমিশে থাকতে চাই। এদেশ আমাদের সবার। আমরা প্রত্যেকে নির্বিঘ্নে আমাদের ধর্মীয় যে চর্চা, ধর্মীয় যে উৎসব, ধর্মীয় যে উপাসনা এটা আমরা চালিয়ে যাবো।

এ সময় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিতসহ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
নামিবিয়ায় পদদলনে ৯০টি মহিষের মৃত্যু
আগামীকাল থেকে পবিত্র রবিউস সানি মাস গণনা শুরু
শিক্ষাবৃত্তি দেবে সোনালী ব্যাংক
হাসপাতাল সেবা, রাস্তা ও প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান
নিউইয়র্কে রাজনৈতিক নেতাদের হেনস্থায় গভীর দুঃখ প্রকাশ, সরকারের আইনি ও কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার যোগদান
খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করল বিসিবি
ঝালকাঠিতে ‘লিগ্যাল এইড’ কমিটির সভা 
খুলনায় ৪২ লাখ শিশু পাবে টাইফয়েড টিকা
বাগেরহাটে সারের বস্তায় হুক মারায় ডিলারকে জরিমানা 
১০