সাতক্ষীরা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সংলগ্ন পুরাতন হাটখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্দির পরিদর্শনকালে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় ভক্তদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
মেজর জেনারেল মো. আশরাফুজ্জামান দুর্গাপূজা উপলক্ষে উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গ পুজা যাতে নির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে পালন করতে পারে সেজন্য বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। সারাদেশের সীমান্তবর্তী পূজা মন্ডপে দুই হাজারের অধিক বিজিবি নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। সকলে আনন্দের সাথে দূর্গাপূজা পালন করতে পারছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমান করতে চাই যে, আমাদের বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা সবাই সাম্যের পক্ষে এবং যার যার উৎসব ও ধর্ম সুন্দরভাবে পালন করতে পারি। কোথাও কোন বিঘ্ন সৃষ্ঠি করা হয়না। সেটা আমরা এবারও দেখাতে পেরেছি, ভবিষ্যতেও পারব।’
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা ও অগ্রযাত্রায় সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের অবদান অনস্বীকার্য।
এর আগে সকাল ১০টায় বিজিবি মহাপরিচালক সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৈখালী এস.আর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে সুপেয় পানি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন বিজিবি সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই এলাকার মানুষ লোনা পানি বা পুকুরের পানি খেয়ে কষ্টে ছিল। তাদের এই কষ্ট কমাতে সুপেয় পানির প্লান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে বিজিবির নিজস্ব অর্থায়নে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নওফেল মাহমুদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, যশোর রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেড ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহান হোসেন ও খুলনা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মেহেদী হাসান চৌধুরী, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটিলিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশরাফুল হক, বিজিবি নীলডুমুর ১৭ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শাহারিয়ার রাজিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শেখ মইনুল ইসলাম মঈন।
বিজিবি’র নির্মিত সুপেয় পানির এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৫ লাখ টাকা। দৈনিক এ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার লিটার পানি। এখানে পানি সংরক্ষণ করা যাবে ১৫ হাজার লিটার।
পরে তিনি সেখানে অসহায় ও হত দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন এবং ফ্রি মেডিকেল ক্যম্পের উদ্বোধন করেন।