সুনামগঞ্জ, ১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহাষ্টমীর পূজা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে ছিল উৎসবের আমেজ। ভক্তিভরে সকলে মায়ের পায়ে অঞ্জলি দিয়েছেন। বিরামহীন ঢোলের আওয়াজ, ঘণ্টা আর কাঁসার শব্দের সাথে সাথে নানা বয়সের নারীদের ভক্তিভরা উলুধ্বনিতে মণ্ডপে মণ্ডপেএক আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমল বনিক জানান, আজ বুধবার শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী। এক দিন পরেই মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিজয়ার অশ্রু। তাই মহানবমীর দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার সময়। দুর্গাপূজার অন্তিম দিন বলা যায় মহানবমীর দিনটিকে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিনে আজ মহানবমী। নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি থাকবে অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ। আজ চন্দ্রের নবমী তিথিতে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হবে মহানবমী পূজা। মূলত আজই পূজার শেষ দিন। নবমী নিশীথে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাত তাই বিদায়ের পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন, নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশি লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন।
সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পূণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবী দুর্গা। নবমী তিথি শুরু হয় সন্ধিপূজা দিয়ে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট সর্বমোট ৪৮ মিনিটে সন্ধিপূজা হয়। মূলত দেবী চামুণ্ডার পূজা করা হয় এসময়।
এ সময়েই দেবী দুর্গার হাতে বধ হয়েছিল মহিষাসুর, আর রাম বধ করেছিলেন রাবণকে। নবমী রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।