রাঙ্গামাটি, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): দেশের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও শাখা বন বিহারগুলোতে উদযাপিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা।
এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে জেলার রাজবন বিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিন রাজ বন বিহার প্রাঙ্গনে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পি-দান ও প্রাতঃরাশ, মঙ্গল সূত্র পাঠ, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল প্রার্থনা, মহাসংঘ দান, প্রদ্বীপ পূজা, হাজার বাতি দান, ফানুস দানসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপসক উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট দীপেন দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় হাজার-হাজার পূর্ণার্থীর সাধু-সাধু ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো রাজবন বিহার প্রাঙ্গন। শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে রাজবন বিহার প্রাঙ্গণে পূর্ণার্থীর ঢল নামে। সন্ধ্যায় রাজ বনবিহারে হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উড়ানোর মধ্যদিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।
রাজবন বিহার ছাড়াও প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সন্ধ্যায় জেলার বিহারগুলোতে ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠানসহ ফানুস উড়ানো হবে।
উল্লেখ্য, আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভের পর আষাঢ়ে পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনি পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারণা উৎসব পালন করেন। সেই থেকে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা বর্ষাবাস শেষে দিনটি পালন করে আসছেন। আজকের এই দিন থেকে পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার গুলোতে শুরু হবে কঠিন চীবর দানোৎসব।
আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে দেশের সর্ববৃহৎ কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
রাজবন বিহারের এই কঠিন চীবর দানোৎসবে দেশ, বিদেশ ও পার্বত্য অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের উপসক উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি নিরুপা দেওয়ান।