
ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আয়নাঘরের বন্দীদের নিয়ে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
বাংলাদেশে চলমান গুজব এবং ভুয়া খবর, অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্বে নিয়োজিত ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফ্যাক্টওয়াচ হল একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সত্তা। এটি লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটিভেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, আয়নাঘরের বন্দীদের নিয়ে ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের বন্দীদশা থেকে মুক্ত হওয়া আলোচিত দুই ভুক্তভোগী-ব্যারিস্টার আরমান ও ব্রিগেডিয়ার আমান আজমী প্রকৃতপক্ষে গুম হননি, বরং তুরস্কের একটি সেফ হাউজে ছিলেন। এমন দাবীতে দৈনিক কালের কণ্ঠের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, দৈনিক কালের কণ্ঠ থেকে এমন সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রচার করা হয়নি। সঙ্গত কারনে ফ্যাক্টওয়াচ এসব ফটোকার্ডকে বিকৃত সাব্যস্ত করছে।
ফ্যাক্টওয়াচ আরও জানায়, দৈনিক কালের কণ্ঠের নাম ও লোগোযুক্ত কার্ডের শিরোনাম ছিল-‘গুম নয়, তুরষ্কের আঙ্কারায় সেফ হাউজে ছিলে আমান আজমী ও আরমান, তুরষ্ক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার’।
অনুসন্ধান শনাক্ত হয়, আলোচিত ফটোকার্ডে তারিখ ‘১৪ নভেম্বর ২০২৫’ উল্লেখ করা হয়। তবে দৈনিক কালের কণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ১৪ নভেম্বর তারিখে এমন কোন ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও এ ধরনের খবর পাওয়া যায়নি। কালের কণ্ঠ থেকে প্রকাশিত ফটোকার্ডের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ছড়িয়ে পড়া কার্ডে ব্যবহৃত ফন্ট ওআঙ্গিকে পার্থক্য রয়েছে।
গতকাল (শনিবার) মসন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে দৈনিক কালের কণ্ঠের ফেসবুক পেইজ থেকে ভিন্ন একটি ফটোকার্ডে জানানো হয়, ভাইরাল ফটোকার্ডটি তাদের নয়। এটি ভুয়া নিউজ, যার সঙ্গে কালের কণ্ঠের সম্পৃক্ততা নেই।’
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, ভাইরাল ফটোকার্ডটি প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া ভিডিও, খবর ও গুজব ছড়ানোর ঘটনা বেড়েছে। এসব বিষয় নজরে এলে ফ্যাক্ট চেক করে সত্য তুলে ধরাসহ গুজব প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে ফ্যাক্টওয়াচ।