চট্টগ্রাম, ৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : নগরীর পাঁচলাইশ থানা এলাকার একটি বাসা থেকে সাড়ে ৪৯ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় গৃহপরিচারিকার মেয়েসহ চার নারীকে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এসময় তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণ এবং স্বর্ণ বিক্রির ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী (১৯), ইভা বেগম (৩২), হাসেনা বেগম (৬৭) ও শান্তা আক্তার নিলা (২৬)।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সুলাইমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব ও নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর গৃহিনী উম্মুল খায়ের আমিন থানায় স্বর্ণ চুরির মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বাদী জানান, গত ২১ আগস্ট সকালে তার মেয়ে নাবিলা আমিনকে বাসায় রেখে তিনি রাউজান শ্বশুরবাড়িতে যান। বিকেলে ফিরে এসে দেখেন, তার ও প্রবাসী ছেলে মো. ইফতেখার আমিনের ঘরের আলমারীর দরজা খোলা। এই অবস্থায় আলমারীতে রাখা ৪৯ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার (যার মূল্য আনুমানিক ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা) নেই।
বিষয়টি মেয়ে নাবিলা আমিনকে জিজ্ঞেস করলে মেয়ে জানায়- ঘটনার দিন তাদের বাসার গৃহপরিচারিকা পারভীন আক্তারের মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী বাসায় আসে এবং দুপুরের পর বেরিয়ে যায়। দীর্ঘদিনের বিশ্বাসের কারণে সাথী যাওয়ার পর কেউ আর ঘর তল্লাশি করেননি।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সুলাইমান জানান, শনিবার তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থেকে মূল আসামি সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী ও সহযোগী ইভা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেখানো মতে, চোরাই স্বর্ণের কিছু অংশ- আংটি, বাচ্চার চুড়ি, কানের দুল, মালা (ওজন ১৪ আনা), নগদ ৯০ হাজার টাকা এবং বিক্রির টাকায় কেনা দু’টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে কিশোরগঞ্জের হাসেনা বেগম নামে এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে স্বর্ণ বিক্রির ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
তিনি আরও জানান, আসামির স্বীকারোক্তি মতে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকা থেকে শান্তা আক্তার নিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে চোরাই ৩ ভরি ১২ আনা স্বর্ণালংকার, ১ লাখ টাকা এবং বিক্রির টাকায় কেনা আরও দু’টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
এছাড়াও সেখানকার সুদীপ্ত জুয়েলার্স থেকে ১০ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের গলানো পাত এবং রতন জুয়েলার্স থেকে ১ ভরি ৮ আনা ওজনের আরেকটি গলানো পাত উদ্ধার করা হয়।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেফতারকৃত চারজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি চোরাই স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।