ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): আগামীকাল বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী এই দিবস পালিত হয়।
অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ, চোখের বিভিন্ন রোগ এবং তাদের যত্ন সম্পর্কিত সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিবসটি পালন করা হয়।
অন্ধত্ব প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা-আইএপিবি এবারের বিশ্ব দৃষ্টি দিবসকে সামনে রেখে বছরব্যাপী এক প্রচারণা শুরু করেছে। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’-এ প্রতিপাদ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামীকাল পালন করা হবে দিবসটি।
এ বছর বিশ্ব দৃষ্টি দিবসে ব্র্যাক প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু সেবা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬১টি জেলায় সক্রিয় ব্র্যাকের চক্ষু সেবা কার্যক্রম এ বছর ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’ উপলক্ষে সারা দেশে ৩৫০টিরও বেশি চক্ষু শিবির এবং ৫০টিরও বেশি সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হবে। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে স্বল্পমূল্যে রিডিং গ্লাস বা পাঠের চশমা বিতরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে ছানি অপারেশনসহ প্রয়োজনীয় চক্ষু সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে এই কার্যক্রম চলবে।
দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের পাশাপাশি চক্ষু সেবায় নিয়োজিত সংস্থা আন্ধেরি হিলফি, ব্র্যাক, সিবিএম গ্লোবাল, ফ্রেড হোলোস ফাউন্ডেশন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, সাইট সেভারস, ভিশন স্প্রিং এবং এসিলর লাকসোটিকা জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও বিশেষ চক্ষু সেবার আয়োজন করেছে।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের দেয়া তথ্যমতে, প্রতিদিন ৩ হাজারের বেশি রোগী চোখের বিভিন্ন সমস্যায় শুধু এ প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নেয়। তাদের তথ্য বলছে, দেশের ১ কোটি ৪৩ লাখ লোক দৃষ্টি ত্রুটিতে ভুগছে এবং দিন-দিন চোখের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে স্মার্টফোন ও ট্যাবে ভিডিও গেমসের আসক্তি শিশুদের চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাসহ নানা ধরনের মানসিক সমস্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে পৃথিবীতে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতায় ভুগছে, যার মধ্যে ১ বিলিয়ন মানুষের অন্ধত্ব বা দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করা সম্ভব।