ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ পরীক্ষায় সব ধরনের অসদাচরণের বিরুদ্ধে কঠোর (জিরো টলারেন্স) নীতি প্রয়োগ করেছে।
ট্রাফিক হেলপার (ক্যাজুয়াল) পদে লিখিত পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার, প্রতারণা ও ছদ্মবেশের অভিযোগে ১১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগ আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর দুটি কেন্দ্রে- বিএএফ শাহীন কলেজ, জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা সেনানিবাস এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও-এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষায় অন্যায় পন্থা অবলম্বন করার কারণে বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্র থেকে সাতজন এবং সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে চারজনসহ মোট ১১ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কৃত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের জন্য রুবা আক্তার (রোল ২৮০০৩৭১৯), সাজাহান হোসেন সজিব (রোল ২৮০০৬৬৪৭), এবং ইমাম উল হক (রোল ২৮০০৭৭০৩); প্রবেশপত্রের ছবিতে অসঙ্গতির জন্য মো. ফরহাদ হোসেন ফিরোজ (রোল ২৮০০৭৪৮৯) ও মো. লাবিব হাসান (রোল ২৮০০৭৭৬১); এবং ছদ্মবেশ ধারণের জন্য মো. শাহীন মিয়া (রোল ২৮০০৫০৫৫), আব্দুস সোবাহান (রোল ২৮০১৪০২৩) এবং মো. রেজওয়ান (রোল ২৮০১৪৪৬৫)।
এছাড়া, মো. মকসেদুল (রোল ২৮০১৩৫০১) ও মো. নজরুল ইসলাম (রোল ২৮০১২৮২৪) অন্যান্য অনিয়মের কারণে বহিষ্কার হন এবং আসাদুল ইসলাম উৎস (রোল ২৮০০৮৮৩২) ডুপ্লিকেট প্রবেশপত্র ব্যবহার করায় বহিষ্কার হন।
বিমান কর্তৃপক্ষ তেজগাঁও এবং কাফরুল থানায় ১১ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
বিএএফ শাহীন কলেজ কেন্দ্রে নূর মোহাম্মদ মোল্লার (রোল ২৮০০০০৯১) প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ইসমাইল হোসেন, শারমিন আক্তারের প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষা দিয়েছিলেন শারমিন নাহার এবং মো. হানিফ আলী (রোল ২৮০০৪৩৭৩) প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার সময় ধরা পড়েন।
সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে মো. রেজাউল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন এবং মাহমুদুল হাসান যথাক্রমে আবদুস সোবহান (রোল ২৮০১৪০২৩), মো. রেজওয়ান (রোল ২৮০১৪৪৬৫) এবং মো. নজরুল ইসলাম (রোল ২৮০১২৮২৪)-এর প্রবেশপত্র ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের ঘটনাস্থলেই আটক করা হয় এবং মূল পরীক্ষার্থীদের পলাতক দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলা হয়, অতীতেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়োগে অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যার মধ্যে পুলিশি মামলা দায়েরও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত রাখবে।”