ঢাকা, ১২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় আজ থেকে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি।
আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮ কর্মদিবসে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) ডিএনসিসি’র ১০টি অঞ্চলে প্রায় ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
আজ রোববার সকালে টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয় ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা।
ডিএনসিসি’র আওতাধীন ২ হাজার ১৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং ৬৫৬টি ইপিআই কেন্দ্রের মাধ্যমে কমিউনিটি পর্যায়ে আরও ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশু এ টিকার আওতায় আসবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক টিকাদান কার্যক্রমে ইংরেজি মাধ্যমের ২০২টি স্কুলে ৫৪ হাজার ৬৬৮ জন, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের ২১টি স্কুলে ৫৬ হাজার ৪৬৫ জন এবং ৫১০টি মাদ্রাসায় ৩ লাখ ৪ হাজার ৩১৬ জন শিক্ষার্থী টিকা পাবে।
টিকা কার্যক্রমে প্রতিদিন ৭১২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৯৭২ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন।
প্রতিটি টিমে ২ জন ভ্যাকসিনেটর ও ৩ জন ভলান্টিয়ার কাজ করবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত টিকা প্রদান চলবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ৭২ হাজার শিশু ও শিক্ষার্থীকে টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে টিকাদান চলবে আজ ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১০ দিন।
১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রে এবং ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট/আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হবে।
টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ও অঞ্চল পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি ও মনিটরিং করা হবে। সমন্বয়ের জন্য নগর ভবনে একটি মনিটরিং সেল ও মাঠ পর্যায়ে একটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
জরুরি প্রয়োজনে ডিএনসিসি’র ৫টি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আজ প্রথম দিনে ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, ডা. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. আহসান হাবীব, পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), ঢাকা বিভাগ, পরিচালক এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সহকারী পরিচালক ইপিআই, সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সাইফুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক পরিচালক এমআইএস অধ্যাপক ডা. আলী আকবর আশরাফী, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবের হোসেন।