ঢাকা, ১৬ অক্টোবর ২০২৫(বাসস) : চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যখন পুলিশ নির্বিচারে মানুষ মারছিল, তখন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চব্বিশের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এ তিনি আজ একথা বলেন।
এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালে বলেছি যে এটা (জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান) দমনের জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের একটা দেশপ্রেমিক বাহিনী আছে, তা হলো সেনাবাহিনী। যাকে বাংলাদেশের জনগণ সবসময় ভালোবাসে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বলে। তাদেরকে রাস্তায় দেখলে মানুষ আবেগে বুকে জড়িয়ে ধরে, ফুল দেয়। তারা কিন্তু মাঝখানে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, যখন পুলিশ নির্বিচারে মানুষ মারছিল।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্টের পর সেনাবাহিনী এই ছাত্র-জনতার মাঝখানে এসে দাঁড়ায় এবং তারা এদেরকে সেভ করার চেষ্টা করে। মিরপুরে পুলিশ যখন ছাত্রদের গুলি করে মারছিল তখন মাঝখানে সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে ফাকা গুলি বর্ষণ করে তাদের (পুলিশদের) ছত্রভঙ্গ করে। একটা ফোর্স হিসেবে তারা (সেনাবাহিনী) বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সেটা আমরা আদালতে তুলে ধরেছি। সবকিছু মিলে এই বাহিনী ছাড়া বাকি সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে তারা ব্যবহার করেছিলেন এই (জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দমনের) অপরাধ সংঘটনে।