খুলনা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনায় নব-নির্মিত জেলা কারাগারের কার্যক্রম আগামী শনিবার থেকে শুরু যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এর প্রায় ৯৮ শতাংশ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষ পুরনো জেলখানা ঘাট এলাকার কারাগার থেকে নতুন কারাগারে বন্দীদের স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে শনিবার ১শ’ জন বন্দীকে নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হবে বলে বাসস’কে জানিয়েছেন জেল সুপারিন্টেডেন্ট মুনির হোসেন।
ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত জেলখানা ঘাটের বর্তমান কারাগারটি খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে।
জেল সুপারিন্টেডেন্ট জানান, পুরনো কারাগারে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ১ হাজার ৪শ’রও বেশি বন্দী থাকায় সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নতুন কারাগার চালু হলে তা অনেকটাই লাঘব হবে।
খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে রূপসা সেতুর কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক এ জেলা কারাগারটি নির্মিত হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন এ কারাগারে মোট ৫২টি অবকাঠামো রয়েছে এবং এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দী ধারণ করতে সক্ষম।
এটি একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে, যেখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য পৃথক ইউনিট ছাড়াও কিশোর ও নারী বন্দীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দীদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকবে।
ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত পুরনো খুলনা কারাগারটি ১৯১২ সালে নির্মিত হয়েছিল, যা ৬৭৮ জন বন্দীর ধারণ ক্ষমতা ছিল।