
চট্টগ্রাম, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): টাইফয়েড টিকার পার্শ^পতিক্রিয়া নিয়ে গুজব প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো জিয়াউদ্দিন।
শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস কনফারেন্স হলরুমে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এ অয়োজন করে।
ড. জিয়াউদ্দিন বলেন, সরকার টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে। অন্যরাও অল্প টাকায় এটি নিতে পারবেন। চট্টগ্রামে ৯৭ লাখ শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ৪৪ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টিকা নেওয়ার হার বেশি হলেও মহানগরে কম। এই ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য দেশকে টাইফয়েড মুক্ত করা।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, টাইফয়েডে মৃত্যুহার এখন অনেকাংশে কমে গেছে। এই টিকার ক্ষেত্রে বিদ্যামান সামাজিক প্রতিবন্ধকতা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, টিকা নেওয়ার জ্বর ও অ্যালার্জিজনিত সমস্যা সমস্যা সাময়িক। টিকা গ্রহণের পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়ার ফলে জ্বর হয়, এতে টিকার কার্যকারিতা বাড়ে। আর অ্যালার্জি সমস্যা গণহিস্টরিয়ার ফলে হয়ে থাকে। সাধারণত নারী ও শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। এটি সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক।
অন্য বক্তরা বলেন, টিসিবি টিকা খুবই নিরাপদ এবং কার্যকারী। কোন প্রকার বিরুপ প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সারা বিশ্বে শিশুরা এই টিকা নিচ্ছে। টিকার পার্শ¦প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে সঠিকভাবে জানাতে হবে।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুহাম্মদ হিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. শেখ ফজলে রাব্বী, ইউনিসেফ চট্টগ্রামের প্রধান মাঠ কর্মকর্তা মাধুরী ব্যানার্জী, জেলা সিভিল সার্জন ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।