
গোপালগঞ্জ, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানী) আসনের মনোনীত প্রার্থী সেলিমুজ্জামান সেলিম স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
আজ বেলা ১১টায় কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা করেন।
এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফা মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম, দপ্তর সম্পাদক নুরে বুরহান লিটন, যুবদলের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম পাবেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফোরকান শরীফ টিটো, ছাত্রদলের সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সেলিমুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিস্তারিত উল্লেখের পাশাপাশি আগামীতে তার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও চলমান রাজনীতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সেলিমুজ্জামান বলেন, আমি ২০০৮ সালে চার দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম। তখন দেখেছি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে হলেও গোপালগঞ্জ-১ আসনে হয়নি। আমি নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাইনি। অথচ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে সকলে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার ও মত প্রকাশ করার কথা। আপনারা ২০১৮ সালে দেখেছেন দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। সর্বশেষ ২০২৪ সালেও ডামি নির্বাচন হয়েছিল। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার দিনের ভোট দিনেই হবে। রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা লেখনীর মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। আপনারা এ জাতিকে সহযোগিতা করেছেন। এ জন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সাংবাদিক সমাজ জাতির বিবেক। গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জনগণের যে আন্দোলন, এই আন্দোলনে আপনারা জনগণ এবং আমাদের নেতাকর্মীদের পাশে থাকবেন, আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাব অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আপনাদের অনেক ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এছাড়াও সেলিমুজ্জামান সেলিম আগামী নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রেখে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে ধানের শীষের প্রতীক উপহার দিয়েছেন। আমি যেন সেই প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারি। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমি আপনাদের সামনে কথা দিয়ে গেলাম। আমরা কে মুসলমান, কে হিন্দু, আমাদের সেটা বড় পরিচয় নয়। বড় পরিচয় আমরা কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের মানুষ। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করবো। আমার জানামতে এই কাশিয়ানী-মুকসুদপুরে আর কোনো নিরীহ-নির্দোষ মানুষ মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হবে না। আমার যতোটুকু সহযোগিতার দরকার আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতা করবো। যেন আমরা কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি।