বাসস
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:১৫

ভোলায় জেঁকে বসেছে শীত

ভোলা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : দেশের দক্ষিণের জেলা ভোলায় জেঁকে বসেছে শীত। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিল্লেও অধিকাংশ সময়ই মেঘের আড়ালে থাকে। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বিপাকে পড়েছে নি¤œ আয়ের ও শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ। সকালে ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে যান বাহনে হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতে জ¦র, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। এদিকে জেলায় শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৩৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
শহরের নতুন বাজার এলাকার অটোরিকশা চালক আরিফ হোসেন ও কামরুল ইসলাম বলেন, ঠান্ডার দাপটে মানুষজন ঘর থেকে কম বের হচ্ছে। তাই যাত্রী কম হচ্ছে। আর শীতে তাদেরও কষ্ট হয়। একটি ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত সায়েম হাসান বলেন, ঠান্ডা বাতাস শীত আরো বাড়িয়ে দেয়। ঠান্ডায় মোটর সাইকেল চালাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। ব্যাপক ঠান্ডায় অফিস-আদালত পাড়ায় মানুষের উপস্থিতি কম দেখা যায়। অধিকাংশ দোকান পাট বেলা করে খুলছে।
এছাড়া প্রচুর কুয়াশায় ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের বোরো ধানের বীজতলা। ছোট মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপাকে আছেন পল্ট্রী খামারিরা। আগুন জ¦ালিয়ে অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে দেখা গেছে বিভিন্ন স্থানে। গরম কাপরের চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন বিপণী বিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো: মাহবুব বলেন, জেলায় আজ সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবাবার জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিলো ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগের দিন ছিলো ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি। আরো কয়েক দিন এমন শীত থাকার আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক ডা: মো: লোকমান হাকিম বাসস’কে বলেন, ভোলায় তীব্র শীতে ঠান্ডা জাতীয় রোগ বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। তাই শীতে সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। হাল্কা গরম পানিতে গোসল করতে হবে ও গরম খাবার খাওয়াতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো: তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, জেলায় অসহায় মানুষের শীত নিবারণে সরকারিভাবে ৩৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া অনান্য উদ্যোগ মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। গরীব মানুষের পাশাপাশি মূচি, জেলে, কামার, তৃতীয় লিঙ্গসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।